জীবন কেন এমন হয় (হার্ডকভার)

স্বপ্নের পথ মাড়িয়ে শত কষ্টকে পুঁজি করে সকলেই প্রেমকে সার্থক করতে চায়। হয়তবা কিঞ্চিত ভুল বুঝাবুঝির কারণে প্রেমের মাঝে বিস্ফোরণ ঘটে নদীর দু তীরের মতো। প্রেমকে হারিয়ে অপেক্ষার পর আবার ফিরে পাওয়া এই যে সুখ, তৃপ্তি, অনাবিল শান্তিÑতারাই বুঝে যাদের মনে কিঞ্চিত ভালোবাসা জেগেছে। জীবন মানে যুদ্ধ, জীবন মানে সংগ্রাম। তার প্রমাণ এই উপন্যাস। প্রাণ বাঁচাতে মানুষ যেমন সামান্য মিথ্যে, কিছুটা অভিনয় করে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে মানুষ অর্থের পিছু দৌড়াতে দৌড়াতে গড়ে তুলেছে কলুষিত সমাজ, নিজেকে করেছে নেশাগ্রস্থ। সেখানে যদি কিঞ্চিত শিক্ষা বিস্তার করতো তাহলে সেটা নেশাগ্রস্থ না হয়ে আত্মমর্যাদায় গড়ে উঠত। কলুষিত রাজ্য হতে বন্ধুকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা কতটা কর্তব্য ও দায়িত্বশীল তা বর্তমান সমাজে বিরল।

ত্রিভুজ প্রেমের উপন্যাস ‘জীবন কেন এমন হয়’Ñযার নায়ক পরনির্ভরশীল। বড়লোকের মেয়ে তৃষ্ণা। তৃষ্ণা বিশালকে খুব ভালোবাসে। মামার বাড়ির মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে বিশাল ভালোবেসেছে অন্য আরেকটি মেয়ে লিজাকে। কখন যে মনের অজান্তে বিশাল নেশাগ্রন্থ হয়ে পড়েছে নিজেও জানে না। নেশাগ্রন্থ অবস্থা থেকে তাকে ফিরিয়ে আনে প্রাণপ্রিয় বন্ধু আরিফ। তৃষ্ণা কি পারবে বাবার সম্মান রেখে বিশালকে জীবন সাথী করতে? টানটান উত্তেজনায় পরিপূর্ণ সম্পূর্ণ উপন্যাসটি, বিশ্বাস না হলে একবার পড়ে দেখুন। দেখবেন প্রস্ফুটিত ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যেকটি পাঠকের মনে।