হুট করেই কবিতা লিখতে বসা, সেটাও ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে। আমার বর্তমান দিনগুলো কায়িক শ্রমে কাটে। কনস্ট্রাকশনের ইট-বালু টানা কিংবা খেতের জমি চাষ। দিনশেষে ক্লান্ত শরীর সহজেই ঢলে পড়ে ঘুমে। সারাদিনের অব্যবহৃত ব্রেইনে কত চিন্তা ঘুরপাক খায়, সেগুলো লিখে যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সময় হয় না গল্প আকারে লেখার। তাই সংক্ষিপ্ত সময়ে সেগুলো লিপিবদ্ধ করার ইচ্ছা থেকে কবিতা লেখার শুরু।
২০২৪ সালের ভাবনাগুলো থেকে কিছু ভাবনা লেখার মাধ্যমে প্রকাশের ইচ্ছা হলো। বাকিগুলো অনেক সংক্ষিপ্ত হওয়ায় প্রকাশ করলাম না। এমনিতেই বইটি কিনে টাকা জলে যাওয়ার আফসোস করবেন পাঠকেরা, তাই সে আফসোস বাড়াতে চাই নি বইয়ের কলেবর বড় করে। আর আপনাদের ক্ষতি কমাতে আমি বইটির দাম প্রকাশককে সর্বনিম্ন রাখতে বলেছি।
আর বইটিতে গল্প এবং কবিতা একসাথে করার কারণ হচ্ছে, বাইন্ডিং খরচ কমানো। স্কুল জীবনে স্যারদের আলাদা আলাদা খাতার চাহিদা পূরণের জন্য একই খাতার দুইপাশে কভার বানিয়ে বুঝ দিতাম স্যারদের। গরীবের এভাবেই বেঁচে থাকা লাগে। বই প্রকাশেও সে দারিদ্রতাই প্রকাশ পেয়েছে।
আমার আবার অপেক্ষা সয় না, এছাড়া সময়ের সাথে সাথে আমি পরিবর্তন হয়ে যাই খুব। তাই আগামী বছর পর্যন্ত কবিতা-গল্প জমিয়ে রাখতে ইচ্ছা হয় নি। সেজন্য যা চিন্তাতে সঞ্চয় তাই প্রকাশ করে ফেলার পক্ষপাতি।
আমি বক্তব্য প্রকাশের জন্য লেখালেখি করি। এসব বক্তব্য শুদ্ধ বলে দাবি করবো না।। শুধু বলবো, জীবনের এই পর্যায়ে এসে, বর্তমান চিন্তার প্রতিফলন হয়েছে। আজকে যেটা শুদ্ধ, কাল সেটাই ভুল মনে হতে পারে আমার।
আর আমি কবিতার মানুষ নই, পড়াও হয় না। যদি পড়তেই হয় তবে গদ্যের মতো পড়ি। সেজন্য মর্ম বুঝি নি কবিতার, সেজন্য অগ্রবতি কবির প্রতি অবিচার করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। এখন লিখতে গিয়ে বুঝেছি, কবিতা সুর করে পড়া লাগে বক্তব্য বুঝতে পারার জন্য। নয়তো খাপছাড়া কিছু শব্দ পড়া হবে তাচ্ছিল্যের হাসিতে। আর শেষ শব্দে মিল না রেখেও সুর করে কবিতা পড়া যায়, সেটা দুইবার চেষ্টাতেই পারা যায়। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ রইলো, সেভাবেই যেন কবিতাগুলো পড়েন।
কবিতা হিসেবে ভাষাগত সমস্যা আছে, সেজন্য আমাকে রাকিব ভাইয়ের সাহায্য নিতে হয়েছে। আর কৃতজ্ঞতা সে সকল ব্যক্তিকে যারা এই কবিতার চরিত্র হয়ে আছে, শিখিয়ে যাবে মৃত্যু পর্যন্ত।