বখতিয়ার খিলজির আগমনে পশ্চাৎদ্বার (ভুল ভাববেন না, এটা মহলের পেছনের দরোজা) দিয়ে পালিয়েছিলেন লক্ষণ সেন। বহু শতাব্দী পরে একইভাবে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাা। কী নামে ডাকবেন তাকে?
২০২৪ সাল ছিল পলায়নের বছর। পলায়নের এমন রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী সহ সব মস্ত্রী, সব এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, ভিসিসহ শিক্ষক এমন কী মসজিদের ইমামও পালিয়েছেন! আসলে ক্ষমতার বাগান খেয়ে যে ছাগল বেড়ে ওঠে সে একদিন দুর্গন্ধ ছড়ানো পাঠায় পরিনত হয়।
মাানুষরূপী পাঠারা পালাতে পারে নিঃশব্দে। হোক তার নাম বেনজীর কিংবা মতিউর! মানুষের বিপরীতে গেলে পলায়ন ছাড়া আর কোনো গন্তব্য থাকে না!
কী করবেন আপনি? পালাবেন নাকি সব স্মৃতি রিসেট বাটন টিপে মুছে ফেলতে চাইবেন? চাইলেই কী সব অবদান মুছে ফেলা যায়?
কোনো একদিন যদি নতুন কেউ ক্ষমতায় এসে জুলাই বিপ্লবকে মুছে ফেলতে চায় তখন? আমরা কঠিন দিকে না যাই। তার চেয়ে ভালো কৌতুক....
মানুষ দেবদাসের কাণ্ড নিয়ে এখন হাসাহাসি করে।
তবু এক ছেলে প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়াতে একদিন মদ খেয়ে প্রেমিকার শশুর বাড়ির সামনে এসে হাজির হলো। প্রেমিকাকে সে টেলিফোন করে বললোÑ একটু জানালায় আসো। তোমাকে এক নজর দেখে চলে যাব। প্রেমিকা এলো না।
প্রেমিক অভিমানে আত্মহত্যা করলো। এরপর কে একজন থানায় টেলিফোন দিয়ে বললো, ভাই আমাদের পাশের বাড়ির সামনে একটা গাধা মরে পরে আছে। দয়া করে তার মৃতদেহটা উদ্ধার করে নিয়ে যান!
বাংলাদেশ জানতে মলাটবন্দী বাংলাদেশ সিরিজের বই পড়ুন!
জন্ম : ১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৭। জন্মেছেন খুলনার খালিশপুরে । ছােটকাল কেটেছে ক্রিসেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বরিশাল ক্যাডেট কলেজে। কলেজ জীবন শেষে যােগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। নৌবাহিনীর শিক্ষানবীশ অফিসার হিসেবে পড়তে এসেছিলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯১ সালে চাকরি হারানাের পর থেকে বদলে ফেলেন তার জীবন । এরপর বিচিত্র অভিজ্ঞতা! কখনও টিউশনি, কখনও কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেয়া, কখনও সিকিউরিটি অফিসারের পেশায় পার করেছেন সময়। '৯৫ সালে কিছুদিনের জন্য যায় যায় দিন এর । সহযােগি প্রকাশনা, সাপ্তাহিক মৌচাকে ঢিল-এ কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সালে যায় যায় দিন প্রতিদিন-এ যােগ দিয়ে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করেন। এরপর কাজ করেছেন প্রথম আলাে, মানবজমিন ও মাতৃভূমি পত্রিকায়। বর্তমানে দৈনিক আমার দেশ -পত্রিকায় কর্মরত আছেন। লেখালেখির চেয়েও বর্ণাঢ্য এবং বৈচিত্র্যময় তার ভবঘুরে জীবন। তুমুল আড্ডার মধ্যমণি হিসেবে জুড়ি নেই। তার। এ পর্যন্ত তার কবিতার বই বেরিয়েছে দুটি আর রম্য সংকলনের সংখ্যা চার । নিখোজ নিহত নয়, তালিকাভুক্ত ও স্মৃতির গহনাগুলাের পর ভালােবাসা মরে যায় মুগ্ধতা মরে না তার চতুর্থ উপন্যাস।