সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল 'আলামীন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা, কর্ম ও অনুমোদনকে 'হাদীস' বলে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের পর 'হাদীস' শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়। ফলে এ দুয়ের আলোকে মু'মিন মুসলমানগণ তাদের জীবনব্যবস্থার যাবতীয় কাজকর্ম নির্বাহ করে থাকে।
পিতা-মাতারা বিশুদ্ধ দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের সন্তানকে সঠিক পন্থায় লালন-পালন করার আশা করে থাকেন। আর তাই আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ স্নেহের সোনামণিদের জন্য দ্বীন ও আখলাক-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাসূল (স)-এর ছোট ছোট হাদীসগুলো সংকলন করেছি যা তাদেরকে আগামীতে আরও রসূলের বাণী পাঠে আগ্রহ সৃষ্টি ও আদর্শ হিসেবে গড়ে উঠতে সহযোগিতা করবে, ইন-শা-আল্লাহ্। এছাড়াও এ সকল ছোট হাদীসগুলো তাদের মুখস্থ করতেও সহজ হবে।
অধিকন্তু বর্তমান সময়ের কিছু সংখ্যক মুসলমান নামধারী চমৎপ্রদ নাম ধারণ করে হাদীসকে অস্বীকার করছে এবং প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ)-এর প্রতি এমনকি যাঁরা হাদীস সংকলন করেছেন তাদের প্রতিও কটূক্তি করতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না। তাদের ফিতনার শাখা-প্রশাখা ক্রমশ বিস্তার করে চলেছে, যা দ্বীন ও ঈমানের মূলে কুঠারাঘাতের শামিল। অথচ যে মাধ্যমে কুরআন এসেছে, সেই একই মাধ্যমেই হাদীস এসেছে। সুতরাং হাদীস অস্বীকার করা ইসলাম অস্বীকার করার নামান্তর। এমন পরিস্থিতে হাদীস অস্বীকারকারীদের কবল থেকে রক্ষা করতে আমাদের প্রিয় সোনামণিদেরকে ছোটবেলা হতে রাসূলের বাণী হাদীসের সাথে পরিচয় করে দেওয়ার জন্যও আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় এ গ্রন্থটি পাঠকের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে, তাদের সবার জন্য মহান আল্লাহর কাছে উত্তম বিনিময় কামনা করছি।
আমরা আমাদের সাধ্য মত বইটিকে ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করেছি। তারপরও যদি সম্মানিত পাঠকের দৃষ্টিতে কোনো ভুল-ভ্রান্তি পরীলক্ষিত হয়, তাহলে আমাদেরকে অবগত করার জন্য আন্তরিক অনুরোধ রইলো এবং পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে ইনশা-আল্লাহ্।
মহান আল্লাহ্ বইটিকে পাঠক সমাজের জন্য উপকারী হিসেবে কবুল করুন, আমীন।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকার জীবনশিল্পী মানবতাবাদী লেখক আব্দুল মতি মৌলভীবাজার শহরতলীর বর্ষিজোড়া (মাইজপাড় বাসাবাড়ি)'র এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহ। করেন। পিতা মরহুম ডাঃ আব্দুল গফুর এ্যালোপ্যাথিয় চিকিৎসক ও মাতা মরহুমা বেগম ফুল একজন বিদূষ সুগৃহিনী ছিলেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। জাতীয় পত্র-পত্রিকায় তা অজস্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একজন শক্তিমান উঁচুমাপের লেখক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী। জীবনখাতার বিশাল ক্যানভাসে কালি ও কলমের আঁচডে কথাকলি ও শব্দ বুনেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অন্তরে অনির্বাণ একুশের সাহিত্য প্রতিযোগিতার কবিতা-নাটক গল্প-প্রবন্ধ সাহিত্যের সবক'টি শাখায় তিনি একাধিকবা শীর্ষ পুরষ্কার পেয়েছেন এবং বহুভাষাবিদ আন্তর্জাতিক পন্ডিত ড. সৈয়দ মুজতবা আলী জন্ম শতবর্ষ সাহিতে পুরষ্কার অর্জন করেন। সাহিত্যে ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে একি অনিবার্য নাম আব্দুল মতিন। তিনি একাধারে সফল নাট্যকার-নির্দেশক-অভিনেতা-উপস্থাপক-গীতিকার সুরকার-বাগ্মী-সাংস্কৃতিক-পৃষ্টপোষক-সংগঠক। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভি.পি ছিলেন। ঢাকায় লেখাপড়ার সময় স্বৈরাচারবিরোধ আন্দোলন-সংগ্রামে মিছিলের প্রিয়মুখ-অগ্র-পথিক-সাহস মানুষ হিসেবে তার ভূমিকা ছিল সমুজ্জ্বল। রাজপথ কাঁপানে লড়াকু-অকুতোভয় এক বাতিঅলার নাম আব্দুল মতিন লেখক হিসেবে তিনি নাম নাম যশ অর্জন করেছেন, য সর্বজনবিদিত স্বীকৃত। লেখকের ভান্ডারে বেশক'টি অপ্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। আশা করি অচিরেই এগুলে প্রকাশিত হয়ে বাংলা সাহিত্যেকে ঋদ্ধ করবে।