সেনাবাহিনী ছেড়ে চলে আসা রুক্ষ আর পোড়খাওয়া রুদ্র আফসারের সাথে ঘটছে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা। ছাগলের মাথাওয়ালা বীভৎস চেহারার এক দুপেয়ে প্রাণীকে নিজ চোখে দেখেছে সে, যার কপালে আবার জ্বলজ্বল করছে রক্তাক্ত ত্রিভুজ!
দুঃস্বপ্ন নাকি ভ্রম? কিন্তু একই সময়ে যে তার প্রিয় দুই বন্ধুও সম্মুখীন হচ্ছে অপার্থিব আর ভয়াল সব ঘটনার, তার ব্যাখ্যা কী?
তাহলে কি ছয় বছর আগে খেয়ালের বশে পুরোনো এক ডায়েরি পড়ে সিলেটের সেই গহীন অরণ্য যাত্রাই কাল হয়ে দাঁড়াল? হঠাৎ ঘাড়ের পেছনে চোখের আকৃতির চিহ্ন ভেসে উঠল সবার। চিহ্ন দেখে বুঝতে ভুল হলো না রুদ্রের, “উই হ্যাভ বিন মার্কড।”
কী জন্যে চিহ্নিত করা হলো সবাইকে? সেই চিহ্নিত মানুষের সংখ্যা কি আদৌ গণনাযোগ্য?
এসআই রশীদ আর আদ্রিয়ানকে ফাঁকি দিয়ে মিলিয়ে যাওয়া সেই অবিনশ্বর মানবী যখন দৃশ্যপটে হাজির হলো, উঠে এলো বিস্মৃত এক ভয়াল ইতিহাস। যা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল সবার নশ্বর অস্তিত্বকেই।
যে ইতিহাস একই সময়ে বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ!
যে অভিশপ্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি থামানোর আপ্রাণ চেষ্টায় লড়ে গিয়েছিল রশীদ আর আদ্রিয়ান, তা কি আদৌ থামাতে পেরেছিল তারা? নাকি তা ছিল অনিঃশেষ আঁধারের প্রারম্ভ মাত্র? যার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে রুদ্র, সিজার আর আরশাদের জীবন! শুধুই কি ওদের জীবন, নাকি গোটা পৃথিবীর আয়ুরেখা?
আমাদের এই ‘পৃথিবী’ কি আদৌ একা?
এই গল্প কি শুধুই আমাদের চির-পরিচিত এই পৃথিবীর? নাকি সমান্তরালে ছুটে চলা দুটো, তিনটে কিংবা অসংখ্য দুনিয়ার সলিল সমাধি হতে চলেছে কালের গহ্বরে?
কৃষ্ণকায়া আপনাদের পরিচয় করাবে এক অনিঃশেষ, অন্তহীন জগতের, যেখানে প্রবেশের পরপর সম্মুখীন হবেন এক অমোঘ প্রশ্নের।