গণিত ধাঁধার গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খেতে যে কী দারুণ রকমের মজা, সে-কথা আমরা সবাই জানি। ধাঁধার মজার গল্প যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত গণিত ধাঁধাকারদের মজার ধাঁধার সংগৃহীত সংকলন নিয়ে নতুন এই বই, ‘গণিত ধাঁধার মজার গল্প’।
যেকোনো বয়সের মানুষই এ বইয়ে খুঁজে পাবেন মশগুল হয়ে সময় কাটানোর অসংখ্য খোরাক। এখানে রয়েছে বিস্তর ধাঁধার মজার গল্প আর সেই সব ধাঁধার অনুষঙ্গে যারা অবিস্মরণীয়, তাদের প্রত্যেকের কথা শুধু কি রয়েছে? চোখ দিয়ে উপভোগ করার জন্যও হাজির করেছেন মজাদার, চোখধাঁধানো নানান ছবি। ছবিতে-গল্পে সমস্যায়-সমাধানে এ এক দুর্দান্ত বই। পড়তে পড়তে অজান্তেই শুরু হয়ে যায় বুদ্ধির পরীক্ষা, দেখতে দেখতে চোখের। আর এমনই এক পরীক্ষা, যা বুকে ধুকধুকানি শুধু জাগায় না, হাসতে হাসতে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।
সবে একটা শেয়ালছানাকে মুখে পুরবে কুমির বাবাজি, হঠাৎ দেখে শেয়ালগিন্নি হাজির। জলজ্যান্ত ছানাকে খেতে দেখে সে কী কান্না শেয়ালগিন্নির। বিরক্ত হয়ে কুমির বলল, ‘মরাকান্না থামাও তো বাপু। আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করব। যদি তার ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারো, তাহলে তোমার ছানা আমি জ্যান্ত ফিরিয়ে দেব।’
কান্না মুছে শেয়ালগিন্নি জানতে চাইল, প্রশ্নটা কী?
কুমির বলল, তোমার ছানাকে আমি খাব না ফেরত দেব?’
শেয়ালগিন্নি মাথা চুলকে বেশ খানিকটা ভাবল। তারপর জবাব দিল, ‘তুমি ওকে খাবে।’
সঙ্গে সঙ্গে কুমিরবাবাজির জারিজুরি বন্ধ। সে যদি খায়, তাহলে তো শেয়ালগিন্নি ঠিকঠাক উত্তর দিয়েছে। আর তাহলে তো ফিরিয়ে দিতে হয় জ্যান্ত ছানা! তাহলে? এ তো আচ্ছা ফ্যাসাদ! ধাঁধায় এমনতর অনেক অনেক মজার গল্প। গল্প না ধাঁধা? গল্প বলো গল্প, ধাঁধা বলো ধাঁধা। কিন্তু শেষ কথা হলো, মজার শেষ নেই এ বইয়ে।