আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত, সৃষ্টির সেরা হিসাবে দুনিয়ার মধ্যে পাঠিয়েছেন এবং দুনিয়ার বুকে চলার জন্য আমাদেরকে দিয়েছেন কিছু নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান। যেগুলো পালন করে আমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করে পরকালে চিরস্থায়ী ঠিকানা জান্নাত লাভ করতে পারি। সেই বিধি-বিধানের মধ্য থেকে কিছু বিধি-বিধান আল্লাহ তাআলা বান্দার উপর আবশ্যকীয় করে দিয়েছেন। আর কিছু আমল রেখেছেন ঐচ্ছিক যা আমল করে বান্দা-বান্দি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করতে পারে। সেই আমলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো শবে বরাআতে ও শবে কদরে আমল করা। আর হাজার বছর যাবৎ মুসলমানগণ এ রাতদ্বয়ে গুরুত্বসহকারে আমল করেও আসছেন। কিন্তু বর্তমানে কতিপয় লোক সর্ব-সাধারণ মুসলমানদের ঈমান ও আমল বিনষ্ট করার জন্য বিভিন্ন মন্তব্য ও বক্তব্য প্রচার করছে। শবে বরাআতের ফযীলত ও এ রাতে আমল করাকে ভিত্তিহীন এবং বিদআত বলে প্রচার করছে।
আর সর্ব-সাধারণ জনগণ তাদের লিখিত কিতাবাদী পড়ে এবং তাদের ওয়াজ-নসীহত ও বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং নিজেদের ঈমান, আমল এর ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়ছে। আবার একশ্রেণীর মানুষ শবে বরাআত ও শবে কদরের ন্যায় শবে মিরাজকেও গ্ররুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময় রাত মনে করে উক্ত রজনীতে মনগড়া ইবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকে এবং বিদআতী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। তাই সমাজের এ পরিস্থিতি দেখে এবং সর্ব-সাধারণ থেকে সন্দেহ ও বিভ্রান্ত বিদআতী রুসুম- রেওয়াজ দূর করা লক্ষ্যে সহীহ হাদীস ও গ্রহণযোগ্য দলীল-প্রমাণের আলোকে শবে বরাআত, শবে কদর ও শবে মিরাজের ব্যাপারে সংক্ষিপ্তাকারে একটি বই লেখার ইচ্ছা ব্যাক্ত করি এবং কাজ শুরু করি। আলহামদুল্লিাহ! আল্লাহর দয়ায় ও সাথীদের সহযোগিতায় বইটির কাজ পূর্ণ করি।
সর্বোপরি বইটি পাঠকের হাতে পৌঁছতে যাদের সামান্য সহযোগিতাও রয়েছে, তাদের সকলের প্রতি অন্তরের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা ও দু'আ থাকল।
পরিশেষে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার এই পুস্তিকাটি কবুল করেন ও সকলের জন্য উপকারী এবং আমার নাজাতের ওসিলা বানিয়ে দিন। আমীন।