১৯৭১-এ সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ইতিহাস জানতে গেলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। স্বার্থান্বেষী কিছু মহলের ইতিহাস বিকৃতি এবং সঠিক সময়ে সঠিক সংরক্ষণের অভাবে মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিষয় নিয়েই জনমনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও ধোঁয়াশা বিদ্যমান।
প্রসঙ্গ: মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ গ্রন্থটি লিখেছেন সৈয়দ মাসুদ জর্জ। তিনি ৯নং সেক্টরের কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধকালে তার বয়স ছিল মাত্র পনেরো বছর! বরিশাল থেকে দুর্গম, যুদ্ধ-কবলিত জনপদ পেরিয়ে ইন্ডিয়া গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে যোগদানকারী এই মুক্তিযোদ্ধা চেষ্টা করেছেন এই গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করার। সেই সাথে যোগ করেছেন তার ব্যক্তিগত যুদ্ধের অভিজ্ঞতা।
এই বইতে রয়েছে অনেক জানা-অজানা তথ্য, যেমন: যুদ্ধ-পূর্ব পরিস্থিতি, ’৬৯-এর গণ-আন্দোলন, ছয় দফা ও এগারো দফা, ’৭১-এর মার্চ মাসে দেশের অবস্থার বর্ণনা, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নিয়ে সৃষ্ট নানাবিধ ধূম্রজালের ব্যাখ্যা, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ-এর ঐতিহাসিক ভাষণ, যুদ্ধকালীন সেক্টর ও ব্রিগেড সমূহের বর্ণনা ও কমান্ডারদের ব্যাপারে তথ্যাবলী, বিভিন্ন কমিটি (যেমন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর পদ সমূহ, কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী তালিকা, শেখ মুজিবের সুপ্রিম কমান্ড, মুজিব বাহিনী তথা বি.এল.এফ-এর উপদেষ্টাগণ, ইত্যাদি), মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকা, ১৯৭১-এ পাকিস্তানী বাহিনীর সারেন্ডারের দলিল, প্রভৃতি।
যুদ্ধের ভয়াল-রূপ, তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা, পাক বাহিনীর বর্বরতা, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব এমন নানা বিষয় বইটিতে নির্মোহ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। লেখক যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের দিকেও আলোকপাত করেছেন, বইয়ের শেষ অংশে রয়েছে উত্তাল ১৯৭৫-এর নভেম্বরের ঘটনাবলী।
এক মলাটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এত তথ্যের সমারোহ বিরল। সেই সাথে লেখকের নিজের অভিজ্ঞতা ও বিশ্লেষণ বইটিতে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে।
শুধুমাত্র সত্য ঘটনাই ইতিহাস — আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য এই বইটি হতে পারে একটি কার্যকরী মাধ্যম।
১৯৭১-এ সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ইতিহাস জানতে গেলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। স্বার্থান্বেষী কিছু মহলের ইতিহাস বিকৃতি এবং সঠিক সময়ে সঠিক সংরক্ষণের অভাবে মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিষয় নিয়েই জনমনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও ধোঁয়াশা বিদ্যমান।
"প্রসঙ্গ: মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১" গ্রন্থটি লিখেছেন সৈয়দ মাসুদ জর্জ। তিনি ৯নং সেক্টরের কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধকালে তার বয়স ছিল মাত্র পনেরো বছর! বরিশাল থেকে দুর্গম, যুদ্ধ-কবলিত জনপদ পেরিয়ে ইন্ডিয়া গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে যোগদানকারী এই মুক্তিযোদ্ধা চেষ্টা করেছেন এই গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করার। সেই সাথে যোগ করেছেন তার ব্যক্তিগত যুদ্ধের অভিজ্ঞতা।
এই বইতে রয়েছে অনেক জানা-অজানা তথ্য, যেমন: যুদ্ধ-পূর্ব পরিস্থিতি, ’৬৯-এর গণ-আন্দোলন, ছয় দফা ও এগারো দফা, ’৭১-এর মার্চ মাসে দেশের অবস্থার বর্ণনা, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নিয়ে সৃষ্ট নানাবিধ ধূমজালের ব্যাখ্যা, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ-এর ঐতিহাসিক ভাষণ, যুদ্ধকালীন সেক্টর ও ব্রিগেড সমূহের বর্ণনা ও কমান্ডারদের ব্যাপারে তথ্যাবলী, বিভিন্ন কমিটি (যেমন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর পদ সমূহ, কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী তালিকা, শেখ মুজিবের সুপ্রিম কমান্ড, মুজিব বাহিনী তথা বি.এল.এফ-এর উপদেষ্টাগণ, ইত্যাদি), মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকা, ১৯৭১-এ পাকিস্তানী বাহিনীর সারেন্ডারের দলিল, প্রভৃতি।
যুদ্ধের ভয়াল-রূপ, তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা, পাক বাহিনীর বর্বরতা, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব এমন নানা বিষয় বইটিতে নির্মোহ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। লেখক যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের দিকেও আলোকপাত করেছেন, বইয়ের শেষ অংশে রয়েছে উত্তাল ১৯৭৫-এর নভেম্বরের ঘটনাবলী।
এক মলাটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এত তথ্যের সমারোহ বিরল। সেই সাথে লেখকের নিজের অভিজ্ঞতা ও বিশ্লেষণ বইটি নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে।
শুধুমাত্র সত্য ঘটনাই ইতিহাস — আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য এই বইটি হতে পারে একটি কার্যকরী মাধ্যম।