২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বইয়ের কবিতাগুলো লেখার শুরু অনলাইনে। তারপর গণতন্ত্রকে দাফন করা ২০১৮ সালের রাতের নির্বাচন। আর তখনই বইয়ের পাণ্ডুলিপিটা তৈরি করেছিলাম বইয়ের নামসহ। জাতীয় ক্ষত ঝরানো দু-দুটো অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পর পর আরেকবার দেশের মানুষের সামনে একটা সরকার নির্বাচিত করার সুযোগ এল ২০২৪ সালে। কিন্তু সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচনের বদলে এই অগণতান্ত্রিক সরকারের ডামি নির্বাচন আয়োজনের বিরুদ্ধে আরও কিছু কবিতা লেখা। ২০২৪-এর মাঝামাঝি হঠাৎ শুরু হয়ে যাওয়া ছাত্র আন্দোলন তথা বিপ্লবে শেখ হাসিনা সরকারের অবিশ্বাস্য পাশবিক শক্তি প্রয়োগে বিহ্বলতা কাটিয়ে আরও কিছু কবিতাও অনলাইন সাহিত্য পোর্টালগুলোতে লেখা হলো আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে। সেগুলোও বইয়ে সাজিয়ে দিলাম। দেশীয় রাজনীতিতে জুলাই বিপ্লবের পরে বিরাট পরিবর্তন হলেও ইতিহাস ধরে রাখার ইচ্ছে থেকেই বইয়ের নাম আগেরটাই রইল, সেটা আর পরিবর্তন করলাম না।
এই কবিতাগুলো কখনো একসাথে করে একটা কবিতার বই হবে সে কথা আমি আসলেই কখনো ভাবিনি। কিন্তু দেশবিরোধী দীর্ঘ শাসনামলের একটা চিত্র ইতিহাসের কাছাকাছি থাকবে সেই আশাতেই এই বইয়ের প্রকাশনার চিন্তা। কিছু কবিতার নীচে দেয়া তারিখগুলো অনলাইনে কবিতাগুলো প্রকাশের তারিখ। কিছু পোর্টাল এখন বন্ধ তাই সেগুলোতে প্রকাশিত কবিতাগুলোর তারিখ দেয়া গেল না। আর অপ্রকাশিত কিছু কবিতাও আছে বইয়ে সেগুলোরও তারিখ নেই।
বাংলাদেশের আধুনিক কবিতা নিয়ে সবসময়ই দুর্বোধ্যতার একটা অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগ এই বইয়ের কিছু কবিতার সম্পর্কেও পাঠক করতেই পারেন। সেই ধারণা থেকেই এই বইয়ের কবিতা সম্পর্কে একটু ব্যাখ্যা দেয়া দরকার। আমার কবিতায় কোনো রূপক অর্থ নেই। যা বলবার পরিষ্কার করেই বললাম। আউট অফ দ্যা বক্স কিছু করার বা বলার জন্য নয়। বাংলাদেশের রাজনীতি, রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে যা বস্তুনিষ্ঠ বলে বিশ্বাস করি সেটাই বললাম। এর বাইরে কোনো কিছু বলার নেই, কারও কিছু খোঁজারও নেই। আপনারা অবশ্যই দ্বিমত করতে পারেন আমার মতের সাথে, আপনাদের সেই অধিকার অবশ্যই আছে। সেই অধিকার আমি স্বীকারও করি। কিন্তু তবুও এই কবিতাগুলো বাংলাদেশের গত প্রায় দেড় দশকের স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশের সাহসী জনগণের লড়াইয়ের আর বিপ্লবের একটা যৌক্তিক বয়ান হিসেবেই সবাইকে পড়তে অনুরোধ করি।
Title
মেসি তুমিই বলো, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কেন দরকার?