লোগাং পাহাড়ে কল্পনার রাইফেল’ গল্পগ্রন্থের গল্পগুলো পত্রিকায় প্রকাশের পর দীর্ঘ দিন পরে সংকলনভুক্ত হচ্ছে। টানাপোড়েনের অনেক দিবস—রজনি পার করেছি, জীবনে ভাঙচুর হয়েছে। কিছুদিন আগে পাহাড়ি গ্রাম ডংনালা ভ্রমণে গিয়েছিলাম। কিছু সুহৃদ আপনজন গল্পের বই করার জন্য মুখর হয়ে উঠলেন। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ চাপ তৈরি করলো। কোনো উপায় না পেয়ে সেসব পুরানো লেখাগুলো নিয়ে কাজে নেমে পড়লাম। গত ৩১ ডিসেম্বর ‘রাইফেল কাঁধে পাহাড়ি পথে’ গল্পটি লিখি। এখানে পাহাড়ের জীবন, সংগ্রাম, প্রেম, দ্বন্দ্ব ও রাইফেলের প্রতিধ্বনি পেতে পারেন। আর ‘বিপরীত লড়াই’ গল্পটি নকশাল আন্দোলন নিয়ে লেখা, যা উত্তরের পটভূমিতে বিস্তৃত। যে সময় উত্তর অঞ্চলে অবস্থান করছিলাম। গল্পের সব চরিত্র বাস্তব। অবাস্তব কল্পনা কখনো নয়। এমনকি ‘ক্যানভাসে তখন অন্ধকারের রঙ’ মেয়েটিকেও চিনতাম। যা হোক গল্পগুলো নিয়ে ভালোবাসা ছিল। আর এ বই বের হলো কয়েকজন চেনা মানুষ আসিফ রেজভি, অভিনন্দন ধর, সাহেদুল ইসলাম ও আমার ছেলে সৈয়দ তানভীর ফারহান—এর একরোখা প্রণোদনায়। আর একজনের কথা বিশেষভাবে বলতে হয় সে হলো দিল রাফিয়া খানম রিচি, সে আমার ছোট বোন; সে বলল আপনার বইটি বের হোক। জীবনে এমন সময় পার করেছি, যখন আমার ভালোবাসার মানুষ, প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রিয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আমার মেয়ের কাফনের দামও শোধ করতে হয়েছে। জীবনের প্রথম সর্বনাশা ভালোবাসা আমাকে ভেঙেচুরে নদীর মতো দু’কূল ধ্বসিয়ে চলে গেছে। এই পৃথিবীতে আমার মেয়ে, স্ত্রীর মৃত্যু সহ্য করতে হচ্ছে। এ জীবন বিষাক্ত নীল ফসিল হয়ে গিয়েছিল। অনেক মানুষ হৃদয়ছেঁায়া ভালোবাসায় সিক্ত করেছে। কখনো নির্মম আঘাত পেয়েছি। অবহেলা, প্রত্যাখ্যানের পরেও তবু মানুষকে ভালোবেসেছি। এখানে আভাস দিয়ে রাখি এই বই তাঁর সহযোগিতা ছাড়া কোনোদিন প্রকাশের মুখ দেখতো না। তিনি পৃথিবীটা নতুন করে চিনতে বাধ্য করলেন তার নাম কুয়াশায় আড়াল থাকুক।