বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে জনাব তারেক রহমানের বিশ্বের সামনে নিজেকে নতুন করে তুলে ধরার বছর- ২০২৪
দেশ এবং জাতির প্রয়োজনে, দল এবং ব্যক্তিস্বার্থকে পেছনে ফেলে, নেতৃত্বকে কতটা উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করা যায় তা দেখিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত নিয়মিতভাবে গণ-অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশকে জনাব তারেক রহমান যে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা গেছেন, মূলত সেগুলোর সম্মিলন বলা যায় এই প্রচেষ্টাকে।
ছাত্র-জনতার পাশাপাশি জুলাই বিপ্লবের সেই ভয়াল দিনগুলোতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার তাণ্ডবের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
বইটি পড়ার সময় আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে ছাত্রদের উপর নৃশংসভাবে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ, হাসিনার পদত্যাগ দাবি এবং একটা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামকে বিজয়ের পথে নিয়ে আসার সম্পূর্ণ যাত্রার স্পষ্ট চিত্র।
দেখতে পাবেন- বহুল আশংকিত আওয়ামীলীগের পতন পরবর্তী গণহত্যা এবং অন্যান্য অরাজকতাসমূহ সম্ভাবনাকে সম্পুর্ণভাবে বিলীন করে দেওয়ার বিরল এবং সুদৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্দম প্রকাশ।
বিদেশি আধিপত্যবাদ কিংবা অতিবান্ধব আন্তর্জাতিক মিত্র তৈরির বাইরে এসে সবার আগে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে নিজেদের বিলিয়ে দেওয়া তরুণ তুর্কিরা, যারা প্রকাশ্যে এবং নিভৃতে দিনের পর দিন স্রেফ দেশ এবং দলের হয়ে কাজ করেছে, তাদের কয়েকজনের সুগভীর ভালোবাসা এবং অন্তহীন শ্রমের বিনিময়ে এই দুর্দান্ত সংকলনটি প্রকাশিত হতে পেরেছে।
বিগত অনেকগুলো বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অসংখ্য উজ্জ্বল রত্নের সাথে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই গ্রন্থটি অসাধারণ এই তরুণদের সাথে আবারও কাজ করার সুযোগ হলো।
সকলের প্রতি সবিনয় কৃতজ্ঞতা।
আশা করি ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হবে।
তারেক রহমান টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাশীল ইউনিয়নের নথখোলা গ্রামে ১৮.১০.১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এস এম আজহারুল ইসলাম ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ। মাতা ফেরদৌসী বেগম ও রাজনীতির সাথে জড়িত। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট তারেক রহমান। নথখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও বাতুলি শাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ২০১০ সালে তিনি মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ২০১৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন।পেশা জীবন সরকারি চাকরির মাধ্যমে শুরু করলেও ২০১৭ সালে তিনি চাকরি হতে অব্যাহতি নেন। তারপর থেকে চলচ্চিত্র পরিচালনা ও লেখালেখিতে মনযোগী হন। তিনি পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রথম টেলিভিশন নাটক ‘ঘাসফড়িংয়ের প্রেম’ নির্দেশনা দেন ২০১৮ সালে যা বেসরকারি চ্যানেল আর টিভিতে প্রচারিত হয়। এভাবে একের পর এক জনপ্রিয় নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ফিচার ফিল্ম দর্শককে উপহার দেন।