প্রায় একযুগ ধরে নিখোঁজ হয়েছে প্রায় শতাধিক মানুষ। নিখোঁজ এই সব মানুষদের কোনদিনও না পাওয়া গেছে লাশ আর না কোন খোঁজ। আবার তারা যদি অপহৃত হয়ে থাকে তাহলে কেউ তাদের কোন মুক্তিপণও দাবি করেনি। এমনটাও নয় যে তাদের কোথাও পাচার করা হচ্ছে। জীবিত কিংবা তাদের মৃত শরীরের অংশ বিশেষ। এদিকে যে সকল মানুষেরা নিখোঁজ হয়েছে তাদের কেউ সুইসাইড করেনি। করলে তাদের লাশ মিলতো। এমন কোন অপরাধী চক্রকেও সনাক্ত করা যায়নি যারা এই নিখোঁজ মানুষদের সঙ্গে জড়িত। এক কথায় বারো বছর ধরে বাংলাদেশের কিছু মানুষ স্রেফ উধাও। কোথায় গেছে তারা? বা কি হয়েছে ওদের সাথে?
আবিদ চৌধুরি। বাংলাদেশের একজন প্রতিভাধর তরুণ আর্টিস্ট। যার জাগরণ ঘুম এবং স্বপ্নেরও সাথী হলো তার শিল্প। তবে সে একজন ভিন্ন চিন্তার শিল্পী। সেই ভিন্ন চিন্তাটা কি? আবিদ চৌধুরির সাথে হঠাৎ বিয়ে হয় রজনীগন্ধ্যা নামের একটি সুন্দরী মেয়ের। যে কি না ডেঞ্জার ক্লাবের সদস্য ডেভিডের কলম বন্ধু। আর সেই মারফত রজনীগন্ধ্যার কাছ থেকে তাদের ম্যারেজ ডে অনুষ্ঠানে দাওয়াত পায় ডেঞ্জার ক্লাবের সদস্যরা।
ডেঞ্জার ক্লাবের মূল অভিভাবক মিস্টার ক্লার্ক বলে অ্যালেনকে তোরা এমন সময় বাংলাদেশে যাচ্ছিস যখন সে দেশে একটা রহস্যময়ীতা বিরাজ করছে। সেই রহস্যময়ীতা কি?
ছেলেরা মহা আনন্দে প্যারিস থেকে বাংলাদেশে এলো। তারা খুব ভালো সময় কাটাতে লাগলো রজনীগন্ধ্যা আর আবিদ চৌধুরির সাথে।
কিন্তু ধীরে ধীরে কিছু জট ছেলেদের সামনে আসতে লাগলো। সবাই পড়তে লাগলো বিপদে। আবিদ চৌধুরির সৃষ্টি এক প্রকার মানব আকৃতির বনসাই এবং তার বাংলোর পিছনে যে গাছগুলো আছে সেগুলো মূলত কি? এক যুগ ধরে নিখোঁজ হয়ে থাকা মানুষগুলোর সাথে আবিদ চৌধুরির কি সম্পর্ক? রজনীগন্ধ্যার আবিদ চৌধুরির প্রতি যে অন্ধ প্রেম সেই অন্ধ প্রেমের ফলাফল কি? মৃত্যু কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা কি অন্যরা কেউ বুঝতে পারে? ছেলেরা যখন অন্তিম বিপদে পড়লো তখন আবার অন্ধকার ফুড়ে হাজির হলো মিস্টার ক্লার্ক।
সবশেষে যখন তারা বাংলাদেশ ছাড়লো তখন একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার এবং এক অন্ধ প্রেমের সাক্ষী হয়ে রইলো ছেলেরা।