এই বইয়ের নাম শুনে হয়তো ভাবছেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কি খুব জটিল বিষয় নয়?” আসলে ঠিকই ভাবছেন—এআই আসলেই জটিল, তবে এই বইকে লেখা হয়েছে একেবারে সহজ ভাষায়, যাতে যে কেউ বুঝতে পারেন। আমাদের চারপাশে আজ এমন এক ডিজিটাল যুগ চলছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানা কাজ সহজ করে দিচ্ছে। কিন্তু সেই সঙ্গে অনেকের মধ্যেই ভয় বা ভুল ধারণা রয়েছে—“এআই হয়তো আমাদের চাকরি কেড়ে নেবে,” “মানুষের ওপর দানবীয় নিয়ন্ত্রণ করবে,” ইত্যাদি।
এই বইতে লেখক তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, গবেষণা আর বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন—এআই কেবল ভীতি বা দুর্ভাবনার বিষয় নয়, বরং জীবনের নানা ক্ষেত্রে (স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, ব্যবসা, শিক্ষা, এমনকি সৃজনশীলতাতেও) অসাধারণভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। সহজ কিছু কৌশল আর সঠিক জ্ঞান থাকলে যে কেউ এআই ব্যবহার করে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন, সময় সাশ্রয় করতে পারবেন, এমনকি নতুন পেশার সুযোগও খুঁজে পাবেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রবল আগ্রহ বা ভয়—যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, এই বইটি পড়লে আপনি পাবেন এক বাস্তবসম্মত চিত্র। কিভাবে এআই কাজ করে, কীভাবে কমান্ড বা প্রম্পট দিতে হয়, কিংবা ভবিষ্যতে এর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও সুফল কী হতে পারে—এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে সহজ ভাষায়। সবচেয়ে বড় কথা, জটিল প্রযুক্তিগত আলোচনা না বুঝেও আপনি জানতে পারবেন কীভাবে নিজ কাজে, পড়াশোনায় বা ব্যক্তিগত জীবনে এআই কাজে লাগানো যায়।
সুতরাং যারা ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান, ভয়ের দেয়াল ভেঙে নতুন সম্ভাবনা দেখার ইচ্ছা রাখেন—তাদের জন্যই এই বই। প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে লেখক যে অধ্যবসায়ের সঙ্গে এটি লিখেছেন, আশা করি সেটি আপনার জন্য হবে একটি অনন্য পথপ্রদর্শক।