অহর্নিশি ভালোবাসি’ প্রেমের কাব্যগ্রন্থ, কবির দ্বিতীয় প্রকাশিত গ্রন্থ;
কাব্যগ্রন্থটিতে কবিতা ও ছড়া’র সংমিশ্রণ রয়েছে-
কাব্যে নিটোল প্রেমোক্তি উঠে এসেছে:
“পকেট ভরে কাব্য রাখি,
বুকে থাকে কষ্ট।
হৃদপিন্ড তুমি ভরা-
অক্সিজেন প্রকোষ্ঠ!” (ছড়া: ‘তোমার ঘোরে আমি’; পৃষ্ঠা-১১)
প্রেমানুভূতির তীব্র আকাঙ্খাও এসেছে-
“গঞ্জিকা’ সাজানো ‘কলকে’ তুমি-
তোমার ঘ্রাণ নাকে আসতেই স্বপ্নাতুর হয়ে উঠি।
‘মরফিন’ গোত্রীয় ব্যাথানাশক আমার-
তুমি কাছে এলেই সব কষ্ট ভুলে যাই বেমালুম।” (কবিতা: প্রেমাসক্তি, পৃষ্ঠা-৪৮)
প্রেম বলে কথা! ‘প্রেম-কাব্য’ ভাবনায় একাধারে তিনটি ক্ষেত্র: ‘প্রেম উপাখ্যান’, ‘প্রেম প্রস্তাব’, ‘বিরহ কাব্য’ পৃথক অনুচ্ছেদে সমানতালে এসেছে।
‘প্রেম উপাখ্যান’-এ নিরেট ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে:
“ভালোবাসতে বাসতে ফতুর করে দাও,
নিঃস্ব করে দাও, পথে বসিয়ে দাও... ” (ভয়ঙ্কর ভালোবাসা, পৃষ্ঠা-৩৫)
অনুমিত টানাপোড়েনও আছে —
“প্রেম তার প্রাপ্য বুঝে নেবে...
উত্তাল মিছিলের টগবগে তরুণ সে এখন,
কোনো নিষেধ আর ঠেকাতে পারছে না তাকে,
কারফিউ অমান্য করে বিপ্লবী হয়েছে,
বেরিকেড ভেঙে এগিয়ে চলেছে-
তোমার দখল নিয়েই ফিরবে সে!” (দ্রোহী প্রেম, পৃষ্ঠা-৩১)
কল্পনাতেই ভাবা যায় তার ইঙ্গিতও এসেছে কাগুজে ক্যানভাসে:
“যা কিছু নিষিদ্ধ, আধা-সিদ্ধ বা কাঁচা,
তা ছাড়া হয় না প্রেম শুদ্ধ, যায় না তো বাঁচা।” (ছড়া: প্রেমের নিষিদ্ধ পাঠ, পৃষ্ঠা-৪৫)
‘প্রেম প্রস্তাব’ মূলত প্রেম প্রকাশের ভাবনা:
“তোরে আমার ভাল্লাগে,
তোর কথার দগে ঝাল-লাগে ” (তোরে ভাল্লাগে,পৃষ্ঠা-৬৯)
‘বিরহ কাব্য’তে অবধারিত চিত্রকল্প উঠে এসেছে:
“জীবন থাকা অবধি দেহে প্রাণের অস্তিত্ব বোঝা যায় না-
আমি আছি তোমার দেহে অদৃশ্য প্রাণ!
আদতে আমি তো তুমি,
তুমি দেহে আমি অমনিবাস!” (একই দেহে একই প্রাণ; পৃষ্ঠা-৭৩)
‘ভালোবাসার পাঠশালা’তে ‘প্রেমের ধারাপাত’, ‘প্রেমাদর্শলিপি’র হাতেখড়ি হয়ে যাবে-
প্রেমের পাঠ্যপুস্তক আর কি! (?)