"ভুলতে পারি না সেই জেনোসাইড" বইটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস ইতিহাসের চিত্রায়ণ। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা এবং তার পরবর্তী পরিণতির ওপর একটি গভীর বিশ্লেষণ। বইটির বিষয়বস্তু: ৭১-এর গণহত্যার বর্ণনা: বইটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার ভয়াবহতা তুলে ধরে। বিশেষ করে তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী সমর্থকরা। পাকিস্তানের অমানবিক আচরণ: পাকিস্তান কীভাবে তাদের দায়ভার স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, এবং সেসব ঘটনার তদন্ত করতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি, তা বইটির একটি মূল বিষয়। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং বিজয় দিবস: বইটিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের গুরুত্ব এবং এসব হত্যাকাণ্ডের স্মরণে কেন আমাদের মনে রাখতে হবে, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিশ্ব মানবতার ভূমিকা: বিশ্ব মানবতা আজও কেন পাকিস্তানকে চাপ প্রয়োগ করে জেনোসাইডের দায় স্বীকার করতে বাধ্য করতে পারেনি, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: বইটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বাংলাদেশের গণহত্যার দায় স্বীকারের দাবির গুরুত্ব তুলে ধরে। বইটি কেন পড়বেন: ঐতিহাসিক সত্য: যদি আপনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার সম্পর্কে আরও জানতে চান, তাহলে এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক দায়িত্ব: এই বইটি পাঠকদের জন্য মানবিক দায়বদ্ধতার অনুভূতি তৈরি করবে এবং বিশ্বব্যাপী গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রেরণা জোগাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং তাদেরকে এই ভয়াবহ ঘটনাগুলির প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়ক হবে। "ভুলতে পারি না সেই জেনোসাইড" বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়কে সামনে নিয়ে আসে এবং তার দুঃখজনক প্রভাবগুলি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত করে।