বাংলাদেশের সৃজনশীল নৃত্য (হার্ডকভার)

সৃষ্টিকর্তা তাঁর নিপুণ হাতে নিপুণভাবে সৃষ্টি করেছেন আমাদের এই পৃথিবী। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকেই সৃজনশীলতার উৎপত্তি। সৃজনশীলতা না থাকলে শুধু গোলাকৃতির এই পৃথিবীটা আজ এতো রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতো না।

মানবজাতির সৃজনশীলতার ফলস্বরূপ আজকের এই পৃথিবী। একজন মানুষ তার নিজের রুচি, চিন্তাবোধ, জ্ঞান, স্বপ্ন ও শিক্ষা দ্বারা নতুন কোনো কিছু সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। আর এই সক্ষমতাকেই বলা হয় সৃজনশীলতা।

এই সৃজনশীলতা সীমাহীন আকাশ, দিগন্তহীন সমুদ্র, বিস্তীর্ণ মাঠের মতো। যেখানে একজন চিত্রশিল্পী তার স্বপ্নের তুলি দিয়ে যেকোনো কিছু আঁকতে পারে। একজন নৃত্যশিল্পী তার নিজস্ব চিন্তা ও জ্ঞান দ্বারা নতুন নৃত্য সৃষ্টি করতে পারে। আর যখন প্রচলিত কোনো নৃত্যধারার বাইরে কোনো নৃত্য সৃষ্টি করা হয় তখন তাকেই বলে সৃজনশীল নৃত্য।

আমার লেখা শিল্পের পাতায় প্রথম নিবেদন ‘বাংলাদেশের সৃজনশীল নৃত্য’। এই বইটি আংশিক পরিপূরক গবেষণা পত্রের একটি ফসল, যা আমি ২০১৯ সালে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির নৃত্যকলা বিভাগে স্নাতক সম্মানের সর্বশেষ ধাপে করেছিলাম । আমার গাইড হিসেবে ছিলেন আমার বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক আফরিন আফরোজ চৌধুরী। আমার এই বইটিতে বাংলাদেশের স্বনামধন্য গুণী ও কিংবদন্তি নৃত্যগুরুদের সৃজনশীল নৃত্য ভাবনার উল্লেখ রয়েছে।