আজকের আকাশ কেমন যেন মেঘাচ্ছন্ন। মনটাও আমার কেমন যেন অস্থির লাগছে। বেশ কিছুদিন হয় এখানে বেড়াতে এসেছি। লন্ডনে বেড়াতে আসার পেছনে আরেকটা উদ্দেশ্য আছে আমার। এর আগে দু একবার এসেছিলাম। সেটা বহুদিন আগের কথা। এখানে আমার এক বন্ধু আছে। আর্থার এসেছে। ও আমার জীবনের সবকিছুই জানে। ভিনদেশি হলেও মনে হয় যেন মনের মিল রয়েছে। আমাদের কাছাকাছি বয়স।
বন্ধু বললো, চলো তোমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। কাছাকাছি একটা পার্কে যাবো। গাড়ি থাক। চলো, হেঁটেই যাই। অনেক সুন্দর একটা পার্ক। গাছ ও ফুল দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। যেন মনের মেঘ কেটে গেল। দেখলাম, দূরে একটা চার্চ দেখা যাচ্ছে।
বললাম, চলো না দেখে আসি। যদিও আমি মুসলিম। আমি ঘুরতে যাবো সেখানে। যে কোন সুন্দর স্থাপনা দেখতে আমার ভালো লাগে। সুন্দর দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ মন
কেড়ে নেয়।
চার্চের ভেতর ঢুকলাম। বাইরে ও ভেতরে খুব সুন্দর পরিবেশ। ধর্মীয় সংগীত হচ্ছে। সবাই এক সুরে গাইছে। হঠাৎ আমার চোখের পলক পড়ছে না দেখে, বন্ধুটি আমার দিকে তাকিয়ে বললো, সুন্দরী নারী দেখলেই কি চোখ আটকে যায়। আমি সাড়া
দিচ্ছি না দেখে ও আবারো বললো, কি দেখছো এই নারীর দিকে তাকিয়ে। আমার
চোখ ছলছল করে উঠলো। বললাম, বন্ধু, তোমায় যে কি বলবো বলো? এই তো সেই চেনা মুখ! আমি বিড়বিড় করতে লাগলাম; আর কাঁদতে লাগলাম। চোখের জল বাঁধ মানলো না।
বন্ধুটি কান পেতে আমার কথা শুনছিল। তখন আমার একটা ব্যাংকে যাতায়াত ছিল, শিল্পপতি হিসেবে। ব্যাংকে একাউন্ট ছিল। আমার অসুস্থ মা ছিলেন বাসায়। বিছানায় পড়া। আমার বাবা অকাল প্রয়াত। আমি একমাত্র সন্তান ছিলাম। মা কষ্ট করে আমাকে মানুষ করেছেন। কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন ছিল। আমার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পড়াশুনা শেষ করে খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করেছি জীবনে। কিন্তু আমার মা হঠাৎ করে স্ট্রোক করে, প্যারালাইসিস হয়ে গেলেন। মা মাঝে
নাম : সালেহা ইভা পিতার নাম : মরহুম মোঃ হোসেন মাতার নাম : আনোয়ারা বেগম বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিতা। স্বামী ইন্জিনিয়ার, একমাত্র ছেলে ইন্জিনিয়ারিং পড়ছে। জন্ম তারিখ: ১৬ নভেম্বর ( হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ) জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। গ্রামের বাড়ি নরসিংদী। স্থায়ী ঠিকানা : ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কাঁঠালবাগান শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর(সমাজবিজ্ঞান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়),বিএড(ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি),এমএড( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এলএলবি (ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) শখ : লেখালেখি করা,বাগান করা,গান শোনা। পেশা : চাকুরি( শিক্ষকতা ) প্রথম লেখা : স্কুল ম্যাগাজিন। তারপর কলেজ ম্যাগাজিন, বিভিন্ন পত্রিকায়।২০২১ এ এসেছিল একক ৩টি বই - বৃত্তের বাইরে,যদি কখনো হারিয়ে যাই,পাথরে ফোটাবো ফুল।২০১৭ সালে সম্মিলিতভাবে ২০১৯ এ নক্ষত্রের প্রকাশ,২০২০ এ সম্মিলিতভাবে জানালার জোনাকিরা এঐ বই দুটি বইমেলায় এসেছিল।২০২১ এসছে যৌথভাবে শতাব্দীর পংক্তিমালা, উৎসর্গ মা তোমাকে, শুদ্ধ স্বরের কবিতা সংকলন,যে জলে জোসনা গলে,বিশ শব্দের গল্প ১,বিশ শব্দের গল্প সংকলন ২,বাবা বৃক্ষ, যৌথভাবে গল্প ও কবিতা সংকলন কাশফুল। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির শখ। স্কুল ম্যাগাজিন,কলেজ ম্যাগাজিন, জাতীয় পত্রিকায় কিছু লেখা এসেছিল। স্কুল কলেজে থাকতে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা নিয়ে ডায়েরী লেখার শখ ছিল। লেখক ভিষন আবেগপ্রবণ কিন্তু বাস্তববাদী। প্রচন্ড ইতিবাচক মানসিকতা আছে। সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে। প্রচন্ড সংস্কৃতিমনা একজন মানুষ।ভালবাসে সমুদ্র,পাহাড়, প্রকৃতি, চাঁদ,জোছনা, বৃষ্টি।বৈষয়িক জিনিসের প্রতি তেমন আকর্ষণ নেই। ভ্রমণ করতে ভালবাসে।