লেখক ডক্টর মোহাম্মদ জিয়াউল হক নোয়াখালী জেলার সদর থানার নেয়াজপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে ১৯৫০ সালের ১০ই জানুয়ারিতে জন্ম গ্রহণ করেন। নোয়াখালী জিলা স্কুলেরও চৌমহনী কলেজের ছাত্র ড. হক ১৯৭২ ও ১০৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় হতে অর্থিনীতিতে যথাক্রমে অনার্স ও মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম, বি এ ডিগ্রি ও অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হতে দুহাজার এক সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এককালে অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের প্রকল্প অর্থিনীতিবিদ ও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ড. হক বিশ্বের কয়েকটি বিশ্ব বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। এদের মধ্যে অষ্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া সৌদি আরবের আল—কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালির মিলানের কাটানো বিশ্ববিদ্যালয়, থাইল্যান্ডের নারিসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিসিটিং ফেকাল্টি’ হিসেবে স্বল্পকালীন শিক্ষাক্ষতা করেন। ড. হক লন্ডন, প্যারিস, বার্সেলোনা, রোম, ইস্তাম্বুল, দুবাই, কায়রো, কেপ টাউন, কাঠমুন্ডু, বেজিং, সাংহাই, টোকিও, ওসাকা, ব্যাংকক, হংকং, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ম্যানিলা, নিউইয়র্ক, টরন্টো, লাস ভেগাস, কানকুন, ঢাকা, বন ও জেনেভা শহরে একাডেমিক গবেষণা কনফারেন্স সংগঠন ও পরিচালনা করেন এবং বক্তব্য রাখেন। তিনি কয়েকটি গবেষণা—জার্নালের সম্পাদক ছিলেন ও বর্তমানে মেলবোর্নে অবস্থিত গ্লোবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর বিসনেস একাডেমিকস নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা। আল—কোরআনের আলোকে অর্থনীতি, শান্তিধারা, তাত্ত্বিক অর্থনীতি, উন্নয়ন অর্থনীতি ও পরিকল্পনা, নিজেকে দেখি, কোরআন এন্ড প্রফেট—পাথওয়ে টু পিস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোন ডিফল্ট—কেস অফ বাংলাদেশ নামক গ্রন্থসমূহ রচনা করছেন। ড. হক বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিক এবং বর্তমানে তিনি সপরিবারে মেলবোর্ন শহরে বসবাস করছেন।