রফি হকের জন্ম ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, কুষ্টিয়ায়। শৈশব-কৈশোর কেটেছে কুষ্টিয়াতে । এখন ঢাকাবাসী । শিক্ষা লাভ করেছেন মুসলিম হাই স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদি দুই মেরু বিন্দু হয় তা হলে একথাও ঠিক যে, মাঝে রয়েছে দীর্ঘ যাত্রাপথ। গড়াই, পদ্মা, ছেউরিয়া, শিলাইদহ, কোর্টপাড়া, লালিম হক, রাজু আহমেদ স্মৃতি সংসদ, খেলাঘর, চাঁদের হাট, কিশোর বাংলা, আর্ট কলেজ, সফিউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ কিবরিয়া, মনিরুল ইসলাম, ক্যারেন কুন্স, সুজান বেন্টন, রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা প্রিন্ট মেকার্স, টোকিও, ফুকুওকা, হিরোশিমা, প্যারিস, মাদ্রিদ, শিকাগো, ঢাকা আর্ট সার্কেল সব মিলিয়ে এক দীর্ঘ বর্ণাঢ্য চালচিত্র রফি হকের। জীবনটাই যেন এক 'আলেখ্য মঞ্জরী'। শিল্পী হিসেবে রফি হকের পরিচিতি থাকলেও সাহিত্যজগতে তাঁর পদচারণা অনেক দিনের। লেখালেখির শুরু আশির দশকে। অধুনালুপ্ত কিশোর বাংলা, দৈনিক বাংলা, চিত্রালী, ইত্তেফাক, সংবাদ, যুগান্তর প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর লেখা বেরিয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। দেশে বই প্রকাশনা এটাই প্রথম। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রদর্শনী উপলক্ষে ২০১৪-এ প্রকাশিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থ 'ক্রিমসন রেড'। বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে সাহিত্য পুরস্কার' পেয়েছেন ১৯৮২ সালে। “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য পুরস্কার' ১৯৮৪-তে। শিল্পী হিসেবে রফির প্রাপ্ত পুরস্কারের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য 'বিশ্ব ত্রি-বার্ষিক চিত্রকলা প্রদর্শনী, শামালিয়া, প্যারিস' (২০০০), পুরস্কার। আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিজিটিং লেকচারার ও শিল্পী হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০১৪ সালে । জাপানের ফুকুওকা এশিয়ান আর্ট মিউজিয়ামের সন্মানিত ‘আর্টিস্ট-ইন-রেসিডেন্স হয়েছেন' ২০০০ সালে। ২০১২ সালে বেইজিংয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক শিল্পী সম্মিলনে যোগ দিয়েছেন পৃথিবীর নানা দেশের শিল্পী-লেখকদের সঙ্গে। একই সালে আমন্ত্রিত হয়েছেন টোকিওতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চিত্রকলা প্রদর্শনীতে। রফির শখ স্বপ্ন দেখা, গান শোনা। একমাত্র কন্যা রূপকথা ও দেশের মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন।