প্রথম গল্পটি জুলাইয়ের আবহে লিখা। শ্রেণী সংঘাত,অর্থনৈতিক ও লৈঙ্গিক বিভেদ কিংবা সেকুলার আর ধর্মপ্রাণ মননের মিশেলে একাকার একটি গল্প, যেখানে সবকিছু ছাপিয়ে উঠে আসে জুলাইয়ের আন্দোলনের একটি খণ্ডচিত্র। উঠে আসে কিছু স্লোগান, ভাবনা আর উৎকণ্ঠা। গল্পটা শেষ হয় প্রতিরোধ তৈরির সংকল্পের ভেতর দিয়ে৷
'পঁচা' গল্পটির শুরু হয় একজন বয়োজ্যেষ্ঠ পাগলকে নিয়ে। কিন্তু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন কিশোর। কৈশোরে যৌনতার একটি আবছা চিত্র গল্পটিতে ফুটে উঠেছে। কিন্তু সেটিও ফিকে হয়ে গেছে গল্পের শেষে এসে পাগলের স্মৃতিচারণে। 'দোষ এবং দোস্ত'-এর জহুর কিংবা 'পিয়াস কিংবা রাষ্ট্র হত্যার বিচার চাই!' গল্পের পিয়াস, চরিত্র হিসেবে খুব বেশি আলাদা হবার পরেও কোথায় এসে যেন এক সূত্রে গাঁথা হয়ে আছে। আবার পিয়াসের গল্প আর ছায়া, এই দুই গল্পই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে। কিন্তু, তারপরেও, কী করে একটিতে আশা আর অন্যটিতে হতাশার আবর্তন হলো সেটি গল্প দুটি পড়তে পড়তে বোঝা যাবে।
মধ্যবিত্তের মানসিক দীনতা আর অসহায়ত্বকে আঘাত করে লিখা হয়েছে 'নিয়তি এবং কিছু কথা'। বইয়ের নাম গল্প 'রাজাদের রাজ্যে রাষ্ট্ররা'-এর সেই কুমির মানব আর তার জেলখানা সদৃশ পরাবাস্তব ভবন, 'নিখোঁজ হলো কানাচোদা' মাদ্রাসা ছাত্র শাহীন, যার আসলে সমাজের কোনও অংশেই জায়গা হয় নি, 'দ্বিপ্রহর' গল্পের জগলুলের পরিণতি, প্রত্যেকটি গল্পেই ভিন্নতা আছে।
'প্রিয়দর্শিনী' গল্পটি একটি আরবান ফ্যান্টাসি আর 'অবনত' যেন এক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর্মসূচি। আর শেষের 'রূপকথা' সত্যিই রূপকথার গল্প বলবে।