আজকের দিনে জ্ঞান ও তথ্যের প্রবাহ আর সীমাবদ্ধ নয়; এটি এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এই উন্মুক্ততার মূল চালিকাশক্তি, ওপেন অ্যাকসেস, আমাদের সামনে এমন একটি ভবিষ্যৎ উন্মোচন করা হয়েছে, যেখানে জ্ঞান শুধুমাত্র কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর অধিকার নয়, বরং তা সবার জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র গবেষকদের জন্য নয়, বরং সাধারণ মানুষের জীবনেও নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করা হয়েছে। ওপেন অ্যাকসেসের ধারণাটি শুধুমাত্র একটি তাত্ত্বিক বিষয় নয়, বরং এটি মানবতার জ্ঞানের প্রতি অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য অঙ্গীকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই গ্রন্থটি রচিত হওয়ার পেছনে একটি গূঢ় উদ্দেশ্য ছিল জ্ঞান ও তথ্যের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে, তা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক উদার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তোলা। বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে, যেগুলোর মধ্যে ওপেন অ্যাকসেসের ইতিহাস, নীতিমালা, ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং ভবিষ্যতের পথচিত্র তুলে ধরা হয়েছে, লেখকগণের প্রচেষ্টা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। বিষয়গুলো এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে এটি শুধু গবেষকদের জন্য নয়, বরং যেকোনো পাঠকের জন্য সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
এই গ্রন্থে ওপেন অ্যাকসেসের ধারণা ও গুরুত্বকে পাঠকের কাছে সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গ্রন্থটির শুরু হয়েছে ওপেন অ্যাকসেসের সংজ্ঞা এবং কেন এটি আজকের দিনে অপরিহার্য, তা নিয়ে আলোচনা করে। এরপর গ্রন্থটির পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে ওপেন অ্যাকসেস আন্দোলনের যাত্রাপথ, কীভাবে এটি শুরু হলো এবং আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, ওপেন অ্যাকসেস শুধু গবেষণা কার্যক্রমের জন্য নয়, এটি শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি স্তরেও পরিবর্তন এনেছে। বিশ্বব্যাপী যেখানে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উন্নতি সাধন করা হচ্ছে, সেখানে ওপেন অ্যাকসেসের মাধ্যমে গবেষণা ও শিক্ষার প্রসার ঘটানো অতীব প্রয়োজনীয়।