২০২৪ সালের পহেলা জুলাই থেকে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করে এবং ছয়ত্রিশ দিনের মাথায় ৫ই আগস্ট চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে একটি স্বতঃস্ফুর্ত গন-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনের প্রতিটি ধাপ প্রবাস থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এই কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকা, টেলিভিশন, ইউটিউব, সামাজিক মাধ্যম এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে আন্দোলনের প্রতিটি ক্ষণ গভীরভাবে অনুভব করেছেন। তাঁর প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা ও আবেগ কাব্যিক ছন্দে রূপ পেয়েছে এই গ্রন্থে।
এই কাব্যগ্রন্থে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আরও স্পষ্ট করার জন্য কিছু সংবাদপত্রের প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন মাধ্যমের উল্লেখ যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাঠক আন্দোলনের প্রকৃত চিত্র এবং এর গভীরতা অনুভব করতে সক্ষম হবেন।
রচয়িতা মনে প্রাণে এই আন্দোলনের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। তাঁর লিখনি শুধুমাত্র আন্দোলনের গতিধারাকে ধারণ করেনি, বরং স্বৈরাচার পতনের জন্য বিপ্লবী আহ্বানেও রূপান্তরিত হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, বিশেষত আবু সাইদ এবং মুগ্ধের মতো সংগ্রামীদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ রচয়িতাকে গভীরভাবে আহত করেছে। তাঁদের আত্মত্যাগের ব্যথায় তিনি বিপ্লবের নতুন ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন।
এই ব্যথা এবং বিপ্লবের সুর থেকেই তিনি সরকার পতনের জন্য আগাম আহ্বান জানিয়েছিলেন। জুলাই বিপ্লবের ডায়েরি হতে পারে ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা জাতির মুক্তি আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠতে পারে। এটি কেবল ইতিহাসের অংশ নয়, বরং পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া একটি সুখপাঠ্য রচনাও হয়ে উঠতে পারে। এই কাব্যগ্রন্থ জাতীয় ইতিহাস ও জনগণের সংগ্রামের সুরক্ষক হয়ে থাকবে এই আমাদের প্রত্যাশা।