গরিব পরিবারে জন্ম নেওয়াটা কোনও অপরাধ নয়। অপরাধ হল গরিব হয়ে মৃত্যুবরণ। জীবনে সফলতা কে না চায় বলুন। চেষ্টাও করেন। কেউ সফল হন, কেউ হন না। সফল হওয়ার চেষ্টায় যখন কেউ হার মানেন তখন তাঁরা ভাগ্যকে দোষারোপ করেন। তাঁদের ধারণা সৌভাগ্যের শোরুম খুলে যাওয়ার জন্য বুঝি ভাগ্যই সব। সেই সঙ্গে দরকার বড় বড় ডিগ্রি, বিলেত ফেরত শিক্ষা। মাইন্ড ইওর ল্যাঙ্গুয়েজ বইটি উৎসাহী পাঠকের সেই ভুল অচিরেই ভাঙিয়ে দেবে। কেবলমাত্র কিছু অদৃশ্যকে সংশোধন করে নিলেই দৃশ্যমান জাগতিক চাওয়া-পাওয়ার ছবিটাই আমূল বদলে যাবে। জীবনের নানা ক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য অভিনব কিছু পথনির্দেশ তুলে ধরা হয়েছে এই বইটিতে। তবে মাইন্ড ইওর ল্যাঙ্গুয়েজ বলতে শুধু মুখের ভাষাই নয়, শরীরী ভাষা অর্থাৎ বডি ল্যাঙ্গুয়েজও যে জীবন-সাফল্যের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার এই অনুপ্রেরণামূলক বইতে বলতে চেয়েছি সে-কথাও।
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রচুর মানুষকে প্রশিক্ষিত করার পর অনেকেই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত ও সফল। বহু উচ্চশিক্ষিত মানুষকে দেখেছি তাঁরা জীবনের অনেক কিছুই জানেন। বহু বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বহু আলোচনাচক্রে প্রধান বক্তা হিসেবেও অংশ নিয়েছেন। কিন্তু নিজেদের সফল হওয়ার পথ খুঁজে না পেয়ে হতাশায় ডুবে গেছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, সফলতা লাভের জন্য, দশজনের একজন হয়ে ওঠার জন্য বইটি পড়ুন, কবচের মতো সঙ্গে রাখুন। পড়তে গিয়ে কলম্বাসের সেই ডিম বসানোর গল্প মনে পড়বে। মনে হবে সবই তো জানতাম, এ আর নতুন কী। হয়ত তাই, হয়ত বা নয়। এতে আছে এমন কিছু সুলুকসন্ধান, এমন কিছু দিশা যা আপনার জীবনকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে, নতুন রঙে উদ্দীপ্ত করবে, দীর্ঘ পথ ক্লান্তিহীনভাবে নতুনভাবে চলতে সাহায্য করবে। সব থেকে বড় কথা, সফল হওয়ার জন্য যে তালার চাবিটা এতদিন বহু চেষ্টা করেও খুঁজে পান নি, এই বইটি শেষ করার পর ভরসা জাগবে, মনে হবে সাফল্য আপনার মুঠোয়। জীবনটাই বদলে যাবে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো।
আমি ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করছি, যাতে দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিরাময়ের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা যায়। গত ১০ বছরে আমার অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, গবেষণা ও আবিষ্কারের মাধ্যমে ৮০,০০০-এর বেশি মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, লিভারের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, মৃগী, পিত্তপাথর, পিসিওডি, রক্তস্বল্পতা, কিডনির পাথর, হজমজনিত সমস্যা, মাইগ্রেন এবং অন্যান্য জীবনধারাজনিত সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেয়েছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করি যে, প্রতিটি মানুষ যেন ওষুধ ছাড়াই তাদের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন, এমনকি সেটি দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হলেও। শৈশব থেকেই প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সুবাদে আমি শিখেছি যে, শুধুমাত্র রোগ নিরাময় করাই যথেষ্ট নয়, বরং মানুষকে তাদের সমস্যার মূল কারণ নিজেরাই জানতে হবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে আমার তত্ত্ব প্রকাশ করা শুরু করি। আমার জনপ্রিয় বইসমূহ – *“ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি”, *“ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ ডিনার”*, *“মাইন্ড ইয়োর ওন ল্যাঙ্গুয়েজ”** – শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ও সামাজিক আচরণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে গভীর আগ্রহ থাকায় আমি প্রকৃতি বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাই, যা আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। এখন যারা এটি গ্রহণ করছেন, তারা উপলব্ধি করতে পারছেন যে, রোগ আসলে একটি চিকিৎসা মিথ মাত্র—প্রতিটি রোগই স্থায়ীভাবে নিরাময়যোগ্য। শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে *৮৫০০ ধরনের রোগ* দূর করা সম্ভব, কারণ খাদ্যই সর্বোত্তম ওষুধ। এটি এমন একটি বিজ্ঞান যা প্রত্যেককে পরিপূর্ণভাবে জীবন উপভোগ করতে সাহায্য করতে পারে।