গণমাধ্যম বোদ্ধা কে বা গণমাধ্যমকে বোঝেন কোন পক্ষ? অন্দরে যারা আছেন, অর্থাৎ গণমাধ্যমের ভেতরের মানুষেরা বলতে পারেন, তাদের মতো গণমাধ্যমকে দেখার সুযোগ পায় কে? এই দাবির পক্ষে যুক্তি আছে। কারণ খবর উৎপাদন, উৎপাদিত খবর বিকৃত হওয়া বা খবরটির মৃত্যুর কারণ তাদের জানা থাকে। খবর বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়েরও অংশীদার তারা। গণমাধ্যমের যত ভোক্তা বা অংশীজন আছেন, যারা সংবাদমাধ্যমের উপকারভোগী, নিজের মতো করে গণমাধ্যমকে দেখতে ও ব্যবহার করতে চান, তাদের মুখচিত্র, চরিত্র গণমাধ্যম কর্মীদের জানা। সুতরাং গণমাধ্যমের সমগ্রতা তাদের মুঠোতে। আবার গণমাধ্যম বিশ্লেষক পরিচয়ে একটি শ্রেণি আছে। তারা হতে পারেন গণমাধ্যমের শিক্ষক বা গবেষক গোষ্ঠী। তাদের দাবি— ভেতরে অবস্থান করে অনেক ক্ষত চোখে পড়ে না। বাইরে থেকে বিশ্লেষকরা সেই ক্ষত চিহ্নিত করতে পারেন এবং ক্ষতের কারণও ব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু বিশ্লেষকেরাও কোনো না কোনো অংশীজনের লেন্সে গণমাধ্যমকে দেখেন বা দেখার চেষ্টা করেন। সুতরাং গণমাধ্যম সম্পর্কে এই গোত্রের জানার মধ্যেও স্বচ্ছতা নেই। মাঠের কর্মী হিসেবে দেখেছি— গণমাধ্যমের যারা প্রান্তিক ভোক্তা, অর্থাৎ দর্শক, তারা গণমাধ্যমের চাতুরী সহজে আঁচ করতে পারেন। বুঝতে পারেন গণমাধ্যমের পক্ষ নেওয়া, বদলে যাওয়া। প্রান্তিক দর্শকদের একটি বড় অংশ হয়তো রাজনৈতিক কোনো না কোনো আদর্শে বিভক্ত। কিন্তু তারপরেও তারা ঠিকই গণমাধ্যম বিশ্লেষণ করতে জানে সূক্ষ্মভাবেই। তাদের গণমাধ্যম বিষয়ে নিরক্ষর ভাবা বোকামি। যদিও এই বোকামির কাজটি করতে গিয়েই গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রান্তিক দর্শকের যোগাযোগ তৈরি হয়নি। বিচ্ছিন্নতা গাঢ় হয়েছে। গণমাধ্যম ক্ষমতা বলয়ের সঙ্গেই অটুট রেখেছে আত্মীয়তা। আমরা যখন সংস্কারের কথা বলছি, দিস্তা দিস্তা লিখছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করছি। তখন কেন যেন নিকটবর্তী গন্তব্যে পৌঁছতে পারছি না। আমরা কেন বলছি না, প্রান্তিক দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার যোগ্যতা অর্জন এবং ক্ষমতা বলয়ের সঙ্গে আত্মীয়তার বাঁধন খসাতে পারলেই আসবে প্রকৃত সংস্কার। গণমাধ্যমে বৈষম্যের কারণও প্রান্তিকের সঙ্গে জনবিচ্ছিন্নতা। সেই প্রান্তিক যেমন দর্শক, তেমনি কর্মীও।
Tushar Abdullah অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে পথে নামা দশম শ্রেণীতে পড়তেই। সাংবাদিকতা তো অ্যাডভেঞ্চারই, তাই না? প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। ভেসে থাকা মিথ্যে থেকে আড়ালের সত্য বের করে নিয়ে আসতে হয়। এই রহস্য অভিযান চলছে পচিশ বছর। পত্রিকায় আট বছর কাটিয়ে টেলিভিশনে কাজ শুরু ১৯৯৯-তে। একুশে টেলিভিশনের মাধ্যমে টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু। তারপর এটিএন বাংলা, আরটিভি, সিএসবি নিউজ, দেশ টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন হয়ে সময় টেলিভিশন। নিজের আনন্দের জায়গা এখনো লেখালেখিতেই। ছোটদের নিয়েই প্রথম বই তোমাদের প্ৰিয়জন । তারপর লেখা হয়েছে- বাংলাদেশের পথে পথে, গাছ বন্ধু, ফুল বন্ধু, চল যাই নদীর দেশে, ভূত অদ্ভুত, চল বড় হই, তোমরা সুন্দর হও, ১৯৭১ গল্প নয়। সত্যি, গল্প বড় টেলিভিশন। শিশু-কিশোরদের আন্দোলন "কৈশোর তারুণ্যের বই নিয়ে এখনকার ছুটে চলা। এছাড়া নাটক, সিনেমার পাণ্ডুলিপি লেখা হচ্ছে। চলছে। নিয়মিত কলাম লেখা এবং সময় সংলাপ নামে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা।