বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা একশো বছর বা তারও বেশি আগের এবং এই শিক্ষা ব্যবস্থার একটি ‘রিবুট’ (পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নতুন করে শুরু করা) অত্যন্ত প্রয়োজন। একই সময়ে এটিকে শিক্ষার সেসকল পদ্ধতি এবং নীতির সাথে পুনরায় সংযোগ করতে হবে যা প্রগতি ও আধুনিকতার নামে বহুদিন আগে বিস্মৃত হয়ে গেছে। আজ আমাদের আছে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রেণির শিক্ষার্থী আছে, যারা এক শ্রেণিকক্ষ থেকে অন্য শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসা করছে। অনুপ্রেরণাহীন বই এবং পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে সংযোগহীন এবং সম্পর্কহীন তথ্যের একটি পরিবাহক বেল্ট তাদেরকে খাওয়ানো হয়। তারপর অবিরাম পরীক্ষায় এগুলোকে জাবর কাটানো হয়। প্রাপ্ত স্কোরগুলো দিয়ে একটি বিষয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা যাচাই করা হয় এবং কোন বিষয়ের ‘নিপুণতা’ মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিযোগিতামূলক, চাপযুক্ত, বিরক্তিকর এবং আত্মাহীন। দুঃখজনকভাবে এটি বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ তথাকথিত মুসলিম বিশ্বাসভিত্তিক স্কুলগুলোতে অনুকরণ করা হয়। অবশেষে বাচ্চাদের একটি শিক্ষিত দল বেরিয়ে আসে। কিন্তু তাদের কি সত্যিই ‘চিন্তা’ বা ‘কাজ’ করতে শেখানো হয়েছে?
অ্যান এল-মোসলিমানি একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক; যিনি কয়েক দশক ধরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত আছেন এবং নিজের ইসলামিক স্কুল পরিচালনা করেছেন। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয় ক্ষেত্রেই এমন একটি সামগ্রিক শিক্ষাদর্শন এবং উপায়ের (approach) ক্রমবর্ধমান আহ্বানে তিনি কণ্ঠ মিলিয়েছেন, যা শিক্ষার্থীদের শিখনে সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক অর্থ প্রদান করবে।
এর কারণ বোঝার জন্য একটি মৌলিক ভিত্তি (premise) দিয়ে শুরু করতে হবে। আর তা হলো প্রতিটি শিশু একটি আধ্যাত্মিক, নৈতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দেশ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তার কাজ কেবল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য জ্ঞানের সন্ধান করা নয়, বরং আল্লাহকে জানা; শিশুর নিজস্ব প্রকৃতি ও মহাবিশ্বে নিজের অবস্থান জানা এবং শেষ পর্যন্ত এগুলোকে মানবজাতির কল্যাণ বয়ে আনে এমন কার্যে রূপায়িত করা।