মেয়েটির জন্ম মুসলিম পরিবারে। কিন্তু দুই ঈদ ছাড়া নিজেকে মুসলমান দাবী করার মতো কোনো কাজই তার করা হয় নি। পাপের অন্ধকার জীবনে সবকিছুর স্বাদই আছে, শুধু শান্তির স্বাদটা নেই। অন্তরে তুমুল হতাশা, দীর্ঘ বছরের ডিপ্রেশন আর কিসের যেন শুন্যতা নিয়ে বেঁচে থাকা। তার অন্তরে হঠাৎ কিসের যেন আলো, সেই আলোর স্রষ্টাকে চিনতে তার ভুল হয় না। সৃষ্টিকর্তার সত্তাকে একটু একটু করে উপলব্ধি করতে শুরু করে সে। ধীরে ধীরে সেই মহান সত্তার প্রতি ক্রমশ বিশ্বাস বাড়তে থাকে। আজীবন নিজের মতো চলে আসা মেয়েটার জীবনে এমন এক আলোর ঝলকানি, নিজের এত বছরের অভ্যস্ততার জীবন ছেড়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জীবন বিধানকে আঁকড়ে ধরে সে। অশান্তির জীবনে সেই আলোর ছোঁয়ায় যেন শান্তির পরশ নেমে আসে। পৃথিবীর সবচেয়ে মহামূল্যবান এক নিয়ামত লাভ করে সে, যার নাম হিদায়াত। এই হিদায়াতের স্বাদ কেমন? কেমন হয় হিদায়াত লাভের পরের অনুভূতি?
সারাজীবন শুধু রিলিজিওন শব্দের পাশে ইসলাম লিখে আসা মেয়েটা জানতো না আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে। রাসূল সম্পর্কে যার কোনো জ্ঞান নেই, যার কাছে ইসলাম মানে শুধু নামাজ রোজা আর হিজাব, নিকাব। ইসলামকে ভাবতো রেস্ট্রিকশনে ভরা একটা লাইফস্টাইল। কিন্তু প্রকৃত দ্বীনের ভেতরের পরিচয় জানার পর পরম শ্রদ্ধায় সিজদায় লুটিয়ে পড়ে সে।
পরম আল্লাহ, যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তাঁকে সবসময় নিজের খুব কাছেই অনুভব করতে পারার যে অতুলনীয় স্বাদ, তা পৃথিবীর সমস্ত নিয়ামতের উর্ধ্বে। কেমন লাগে যখন আপনি বুঝতে পারেন আপনি এমন এক সত্তাকে অন্তরে অনুভব করছেন, এমন একজনের উপস্থিতি টের পাচ্ছেন, যিনি আপনাকেই সৃষ্টি করেছেন? সেই মহান রবের জন্য ভালোবাসা কেমন হয়? আর রবের ভালোবাসাই বা কেমন হয় সৃষ্টির প্রতি?