ইস্তাম্বুন নতুন বিমানবন্দরটি বিশাল এলাকাজুড়ে এবং পৃথিবীর সুন্দর বিমানবন্দর ভার্কিশ এই বিমানবন্দরটির তুরস্কের ২য় বৃহত্তম বিমানবন্দর, খুবই সুন্দর বিমানবন্দরটি। আগে পুরনো বিমানবন্দরে অর্থাৎ মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করতো কিন্তু এখন আর করে না। বিমানবন্দরটি ছোট এবং পুরানা বিধায় এখন এই নতুন বিমানবন্দর থেকে বিমান উঠানামা করে|
নতুন বিমানবন্দর অত্যন্ত সুন্দর ও নাগনিক। সেখান থেকে টেক্সি করে ইয়াসুলের সুলতান আহমেদ ওয়ারে এলাম। এখানে এক ৩ তারকা বিশিষ্ট হোটেল উঠলাম নাম ইস্তাম্বুল হোটেল, নিচ তলায় রুম নং ১০১। পাশেই কৃষ্ণ সাগর (Black Sea), সামনে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক স্থাপনা আয়া সুফিয়া ব্লু মসজিদ ও বাকরাস প্রশালি। এখানে ইস্তাম্বুলের কথা বলতে যেয়ে, ইতিহাসের পাতা থেকে একটু দূরে আসি। সেমী ১০৬৩ থেকে ১০৭৩ খ্রিস্টাব্দের কথা। সেলজুক সাবনাতের প্রতিষ্ঠাতা তুমলুকের এই এর হেলে আলপ আরসালান সেলজুকদের নেতৃত্বে গ্রহণ করার পর মুষশিম প্রায়ো/মধ্যরামে এক গৌরবোজ্জ্বল পাসনের শুরু হয়। আলসে আরসালানের রাজত্বকালে ভূর্তি উপজাতিরা দলে দলে মুসলিম বাহিনীতে যোগদান করলে, মুসলিম সৈন্য বাহিনীর মর্যাদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। মুসলিম বাহিনী আরক শক্তিশালী এবং অপ্রতিয়োসা হয়ে উঠে। পরবর্তী সময়ে মালাইততের যুদ্ধে (১০৭০ খ্রিয়) এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
বাইজান্টাইনদের মোকাবিলায় সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ইস্পাহানে রাজধানী স্থানান্তর করেন।
মানাজকার্সের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এ যুদ্ধে মুসলমানদের জায়গা দেওয়ার ফলে এশিয়া মাইনরে "বাইজান্টাইন" প্রভৃত মান পেয়ে সেলজুক প্রধান্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। আরসালান যুদ্ধ জয়ের পর অধিকৃত অঞ্চলের শাসনভার পিতৃব্যপুত্র সুলারমান ইবন বৃতলুমিশোর হাতে অর্পণ করেন। সুলায়মান বিজ্ঞ শাসক ও সহযোদ্ধা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রাজ্যসীমা উত্তরে হেসেসগন্ট ও পশ্চিম হুমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত করেন এবং বাইজান্টাইন সম্রাটদের কাছ থেকে কর আদায় করেন।
মালাজকার্সের যুদ্ধে মুসলিম বিজয় এশিয়া মাইনরে খ্রিস্টান প্রভুত্বের সম্ভাবনা নূর করে এবং ইসলামের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটায়। এশিয়া মাইনারের 'মুক্তিকরণ' শুধু ইসলামের রাজা এবং ধর্ম বিস্তারের সহায়ক ছিল না, বরং এর পরবর্তীকালে "অটোম্যান তুর্কিদের" আবির্ভাব সুনিশ্চিত হয়। মালাজকার্সের যুদ্ধ জয়ের মীনাতে "বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যর রাজধানী নগীন্টিনোপল (বর্তমান ইত্তাম্বুল) জয়ের প্রথম পদক্ষেপ বলেও মনে হচ্ছে।