মাহ্‌বুব-উল আলম : একজন সত্যসন্ধ লেখকের প্রতিকৃতি (হার্ডকভার)

মাহবুব-উল আলম আমাদের একজন শীর্ষ কথাসাহিত্যিক। সমগ্র বাংলা সাহিত্যের পটভূমিতে বিচার করলেও, তাঁর ‘মো’মেনের জবানবন্দী ও ‘মফিজন’-এর সঙ্গে তুলনীয় রচনা বেশি পাওয়া যাবে না। ‘পল্টন জীবনের স্মৃতি’ও তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। কথাসাহিত্যের বাইরেও নানা বিষয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন, যা তাঁর অসাধারণ পর্যবেক্ষণশক্তি, গভীর মননশীলতা ও তীব্র রসবোধের পরিচয় দেয়। সেই ১৯৫০ ও ’৬০ এর দশকে সমাজ-সংস্কৃতি, ধর্ম ও রাষ্ট্র বিষয়ে তিনি যেভাবে চিন্তা করেছেন, যেসব বক্তব্য রেখেছেন, আজও পড়তে গিয়ে অবাক হতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই তিনি ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ থেকে সে যুদ্ধের তথ্য ও স্মৃতি সংগ্রহে ব্রতী হন এবং চার খণ্ডের আকর গ্রন্থ ‘বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত’ প্রকাশ করেন। সেদিক থেকে এদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায়ও পথিকৃতের ভূমিকাটি তাঁর। সত্তরোর্ধ্ব বয়সে সম্পূর্ণ একক উদ্যোগে সারাদেশ ঘুরে ঘুরে তিনি কাজটি করেছিলেন। কিন্তু আমরা ক’জন সেকথা জানি?

লেখক, গবেষক ও সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোরশেদ শফিউল হাসান রচিত ‘মাহবুব-উল আলম : একজন সত্যসন্ধ লেখকের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ সংকলনের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পাঠক স্বল্পপরিসরে হলেও মহান এই সাহিত্যসাধকের অবদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।