সফিকুর রহমান বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, বৃহত্তর মিরপুর শাখার স্থায়ী সদস্য। ২০২২ সালে আমার সম্পাদনায় প্রবীণ সংঘের ‘প্রত্যাশা' ম্যাগাজিনে সফিকুর রহমানের প্রবন্ধ ‘বন্ধুর গিরিপথ' প্রকাশিত হয়।
আমি লেখকের পাণ্ডুলিপির সম্পূর্ণটাই পড়েছি। লেখক সফিকুর রহমানের অন্তর্লোকে বাস করেন রবীন্দ্রনাথ। তার প্রায় লেখায় রবীন্দ্রনাথের ছায়া যেন প্রচ্ছন্নভাবে প্রলেপ দিয়ে যায়। সরকারি চাকরিতে প্রচুর ব্যস্ততার মধ্যেও মনের ভেতরে লালন করেন সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ও ভালোবাসা। অবসরের পরে সেই সুপ্ত কথাগুলো যেন সাজগোজ করে রেখে যাচ্ছেন মানুষের মাঝে। লেখকের এ গ্রন্থটির মধ্যে আছে দেশপ্রেম, জীবনবোধ, স্মৃতিকাতরতা, আছে মধুর প্রেম—দুঃখ জাগানিয়া প্রেম, আছে অভিমান, আবার সুন্দরের জন্য হৃদয়ের আর্তি। সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার প্রতি পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ। সবকিছু ছাপিয়ে লেখকের অন্তর্গত অভিমান থেকে উৎসারিত 'প্রিয় অভিমান'। নিয়মের বাইরে একটি ব্যতিক্রমধর্মী সংকলন ।
“আমার গল্প, অন্তর্গত অভিমান, শনিবারের হাট, মায়ের চাদর, মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত, জীবন কথা' প্রভৃতি লেখার মধ্যে পরিচয় পাওয়া যায় লেখকের আত্মমগ্ন সৃজনশীল ভাবনার বহিঃপ্রকাশ । গোধূলির লালিমায় আকাশে রক্তের আভায় নিঃসঙ্গ ভালোবাসা আবার দুঃখ-আনন্দ-অভিমান নিয়ে রাজমহলে খুঁজে বেড়ান ‘নীল ধ্রুবতারা'-রীমাকে। কখনো 'বন্ধুর গিরিপথে চলতে চলতে একাকিত্বে নিঃসীম অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েও ঊর্ধ্বে অন্তহীন বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে তার 'বোহেমিয়ান জীবন' এগিয়ে চলে কোনো এক অদৃশ্য ইশারায়। আত্মসমর্পিত হয়ে তিনি লিখে চলেন একের পর এক গল্প-প্রবন্ধ ।
লেখকের অবসরে ধর্ম এবং সাহিত্যচর্চা নিয়ে তার সময় কাটছে। স্ত্রী, এক পুত্র এবং এক কন্যা নিয়ে তার পারিবারিক জীবন। লেখকের সুস্বাস্থ্য এবং সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। সেই সঙ্গে আশা করছি, এই প্রিয় অভিমান' গ্রন্থটি সকল বয়সের পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠবে।