(৮ই আগস্ট ২০২৪) ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে, একটি নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনার সূত্রপাত হয়। ছাত্র জনতার কোন রাজনৈতিক অভিপ্রায় ছিলনা, সরকার গঠনের প্রাক কোন প্রস্তুতি ছিলনা। রাজনৈতিক অভিপ্রায় থাকলে বিপ্লবী সরকার গঠন করে নতুন করে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারন করা সম্ভব হতো।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে ধারণ করে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের চিন্তা করাও যুক্তি নির্ভর হতে পারত কিন্তু ছাত্র জনতা একজন ব্যাক্তি নির্ভর স্বপ্ন রচনায় অগ্রগামী হয়। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল লরিয়েট হিসাবে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক এবং বিশ্বব্যাপি একটি পরিচিতির ধারক ছিলেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই ডঃ ইউনুসকে প্রধান করে একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং ছাত্র জনতার মেধার সম্মীলনে সংবিধান সমুন্নত রেখে, স্বৈরাচারী সরকারের প্রেসিডেন্টকে রেখেই একটি অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গঠন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উন্মুখ হয়। আন্দোলনের স্বপক্ষের শক্তি। ৮ই আগস্ট ডঃ ইউনুসের সরকার শপথ নেয়। ডঃ ইউনুস কি জনতার বৈচিত্র্যময় আশা আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বিজয়কে সফলতায় রূপান্তর করতে সক্ষম হবেন? এই প্রশ্ন আমাদের মনে উত্থিত হয়। ইউনুসের সাথে জনতার সমর্থন আছে কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক গোষ্ঠীর সমর্থন পাওয়া হবে অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। ঐক্যবদ্ধ জনতার মধ্যেও রাজনৈতিক বিভক্তি বিদ্যমান। এই অবস্থায় জনতার আশা আকাক্সক্ষাকে সফল করতে কতটুকু সক্ষম হবেন ডঃ ইউনুস এটা একটি গুরুত্ত্বপূর্ন প্রশ্ন। জনতা উন্মুখ! দেখতে চায় তাদের আশা এবং আকাক্সক্ষার সফলতা। ডঃ ইউনুসের সাথে এই মুহুর্তে জনতার বিপুল সমর্থন আছে কিন্তু বিভক্ত রাজনৈতিক শিবির নিয়ে কি তিনি প্রত্যাশিত সংস্কার করতে সক্ষম হবেন? প্রত্যাশিত সাম্য এবং গণতন্ত্র জনতার হাতে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? ফলাফল দেখতে জনতা “উন্মুখ” হয়ে আছে।