(৩১শে অক্টোবর ২০২৪) আমাদের চারিদিকের সমাজ আজ এক ধরনের নির্লজ্জতার সাগরে নিমজ্জিত। অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। অভদ্রতা, অসদাচরণ, সৌজন্যহীনতা আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। দুর্নীতি ও পাপাচার হয়ে গেছে সার্বজনীন।
বাংলাদেশের স্বৈরশাসকের যুগে রাষ্ট্রীয় আচরণ হয়ে গিয়েছিলো অসৌজন্যতা, দুর্নীতি ব্যাপকতা লাভ করেছিলো। সংসদ সদস্যরা দুর্নীতির জন্য বিদেশে শাস্তি পেয়ে থাকলেও, দেশের মধ্যে তারা রাজা হয়ে সম্মানের সাথে জীবনযাপন করেছেন। সামরিক বাহিনীর প্রধান, পুলিশ বাহিনীর প্রধান, প্রধানসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অন্য দেশের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, কিন্তু দেশে তারা রাজসুলভ সম্মান পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতি অসম্মানের দায় মাথায় নিয়ে দেশত্যাগী হয়েছেন। এই অবস্থায়, সারা বিশ্বের সামনে তারা বিবস্ত্র হয়ে পড়েছিলেন। এতসবের পরও, সমাজের মানুষ লজ্জা পেলে ও নির্লজ্জতার শীর্ষে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানে ছিল।
সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো এখন কি নির্লজ্জতা হ্রাস পেয়েছে? এর উত্তর আমি জানি না। আপাতত মনে হচ্ছে, যাদের দিগম্বর হওয়া দেখে আমরা ব্যাথিত হয়েছিলাম, তারা এখন পিঠ টান দিয়ে পালিয়েছেন, সরকার পরিবর্তনে। তাদের এখনো বিচার করা যায়নি, অনেকে পালিয়ে গেলেও কিছু মানুষ বন্দি হয়েছেন। তবে বিচারব্যবস্থায় তেমন কোনো পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করার কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী দ্রুত খালাস পাচ্ছেন, অথচ আমাদের কাছে কোন যুক্তি, প্রমাণ বা ভিত্তি উপস্থাপন করা হচ্ছে না। তারা সমাজের রাঘব বোয়াল। যাদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কাহিনী একসময় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল, এখন প্রতিদিনই তাদেরকে নিষ্কলঙ্ক বলে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে বিচারালয়।
ব্যাংক লুটেরাদের রাজ্যে শুধু কেদারা পরিবর্তন হয়েছে নতুন লুটেরার দল ক্ষমতা দখল করেছে। বিভিন্ন শিল্প ও কারখানার মালিকানা বদল হচ্ছে, তবে তা শুধু দুর্নীতির আশ্রয়ে।