আমি দেশ-বিদেশের কর্মজীবনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছি। যেখানেই থেকেছি, দেশের কল্যাণ, দেশের মানুষের সুখ-শান্তি, বিশ^শান্তি তদুপরি ধর্মীয় বিষয় আমাকের ব্যাপকভাবে তাড়িত করতো। দেশের যেকোন সাফল্যে যেমন উৎফুল্ল হয়েছি তেমনি দেশের ক্রান্তিকালে হয়েছি ব্যথিত। অতি সম্প্রতি দেশের ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে দেশের ইতিহাসে যে নজিরবিহিন গণঅভুত্থান সৃষ্টি হলো তাতে জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের উচ্চতা বেড়ে গেল কয়েক গুণ। আমি, আমরা আনন্দিত।
আমার ভাবনা জুড়ে বিরাজ করে দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, অগ্রগতি যা সম্ভব হবে নির্লোভ ও আদর্শ ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পরিচালিত সুসাশনের মাধ্যমে। সুসাশনের মাধ্যমে দেশের সম্পদের সুষম বন্টন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির আশাতীত সাফল্য নির্ভরশীল। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যেভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে তেমনিভাবে একদিন দুর্নিতীবাজদের কবল থেকে দেশ মুক্ত হয়ে সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের দ্বারা এদেশ পরিচালিত হবে।
আমি যখন যে বিষয় নিয়ে ভাবতাম তা লিখে রাখার তাগিদ অনুভব করতাম। সাংবাদিক জীবনে প্রবেশ করার পর বিশেষ করে সাপ্তাহিক চলমান বার্তার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর লেখালেখিতে মনোযোগ বাড়ে। নিয়মিত লিখতে চেষ্টা করি। লেখাগুলো পাঠকমহলে সমাদৃত হয়। যে কারণে লেখায় আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করি। লেখার মধ্যে যেমন রয়েছে দেশের সমসাময়িক বিষয়াবলী, বিশ^ রাজনীতি তেমনি রয়েছে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন দিবসের গুরুত্ব সম্বলিত লেখনী। গত এক বছরে বিভিন্ন পত্রিকায় বিশেষ করে সাপ্তাহিক চলমান বার্তায় যে লেখাগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা মলাটবদ্ধ করা প্রয়াস পাই। সে আলোকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। পত্রিকায় প্রকাশের পর পাঠক যেমন প্রশাংসা করেছেন, আশা করি বইটিও পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।
লেখার সময় আমাকের দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও গ্রন্থের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। তারপর বলব, ত্রুটি উর্ধ্বে আমি নই। আমার লেখায় যদি কোন ত্রুটি বা ভুল পাঠকের মনে উদয় হয়, তা জানালে পরবর্তীতে অবশ্যই সংশোধনে স্বচেষ্ট থাকবো।