বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। অল্পকিছু মানুষের হাতে পুঞ্জিভূত হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ সম্পদ। ফলে বৈষম্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এটা যেমন উন্নত দেশের সমস্যা তেমনই উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্যও বেশ চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের দেশে এই বৈষম্য নানানভাবে বিরাজমান। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, আমলাতান্ত্রিক কলাকৌশল ও সিন্ডেকেট প্রথাসহ বিভিন্ন ধরনের অপকৌশল বৈষম্যের মাত্রা ও আওতা দ্রুতগতিতে বাড়াচ্ছে। ফলে সমাজের নিচুতলার (নিম্নআয় অর্থে) মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অনেকক্ষেত্রে তাদের ন্যূনতম মৌলিক অধিকারও পূরণ হচ্ছে না।
এছাড়া দিনে দিনে মানুষের মধ্যে শুভবোধ কমে যাচ্ছে। যৌথ পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থা থেকে বহু আগেই আমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পদের পুঞ্জিভবনের মাধ্যমে একা বড়ো হওয়ার যে বড়ি আমাদের গিলিয়েছে তা ভালো করইে কাজ করতে শুরু করছে।
সময়ে সময়ে অনেককিছুরই পরিবর্তন হবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। কিন্তু পরিবর্তন যদি ক্রমশ নেতিবাচক হতে থাকে তাহলে সেটা উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে। তাই আমাদের কাছে ইতিবাচক পরিবর্তনই কাম্য।
বইকথা’র সপ্তম সংখ্যা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এ সংখ্যায় তিনটি গদ্য, ষোলোটি বই আলোচনা ও একটি ছোটোকাগজ নিয়ে আলোচনা রয়েছে। এ সংখ্যার লেখকবৃন্দ ও প্রচ্ছদশিল্পির প্রতি কৃতজ্ঞতা। বইকথা প্রকাশে ‘বুনন প্রকাশন’ বরাবরই সহযোগিতা করে আসছে। তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও যারা উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ। আর পাঠকদের জন্য রইলো অফুরান ভালোবাসা।