পড়া-জীবনানন্দের নতুন পাঠ তৈরি হওয়া। ব'দলে যাওয়া এতদিনের পড়াটাই।
তেমনটাই ঘটেছে 'নির্ঝর' প্রকাশিত 'বিভা' উপন্যাসের এই নতুন সংস্করণটিতে। এ শুধু নতুন এক প্রকাশকের নতুন এক সংস্করণ নয়। এ এক নব-উন্মোচন!
এ'কথা জানা যে এতদিন আমরা পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসটি প'ড়ি নি!
এ'কথা জানা যে এতদিন আমরা উপন্যাসটির হুবহু পাঠটি প'ড়ি নি!
প'ড়েছি খন্ডিত ও পরিবর্তিত শব্দাবলীর পাঠ! যে কোনও কারণেই হোক। সেসব কথা দিয়েই গাঁথা এই বইয়ের সম্পাদক স্নেহাশিস পাত্রের ভূমিকাটি।কেমনভাবে ভূমেন্দ্র গুহের হাত ঘুরে এই উপন্যাসের পান্ডুলিপির জেরক্স তাঁর কাছে এসে পৌঁছাল, সে কাহিনীও কম নাটকীয় বা কম রোমাঞ্চকর নয়। মনে হয় জীবনানন্দের নভেলেরই কোনও চরিত্রের বয়ান যেন শুনতে পাচ্ছি।
কেন এ'কথা বলছি তা ঐ ভূমিকা প'ড়ে জানাই ভালো।
সুখের কথা, এবার হুবহু প্রকাশ পেল এই উপন্যাস। এবার প'ড়লে বোঝা যাবে এই রচনা জীবনানন্দের উপন্যাসমালায় কোনও গৌণ বা খসড়া রচনা নয়। বরং এ সেই লেখা, যেখানে এক বাঙালি ঔপন্যাসিকের কলম খুঁজতে চাইছে ইউরোপিয় গড়নের 'নির্জন' আত্মদর্শনময় নভেলের উচ্চাকাঙ্খা। একটু ধীর গতির গদ্য,কিন্তু আন্তরিক উন্মোচনে সেখানে গভীরতাকাঙ্খা। সব মিলিয়ে জীবনানন্দের আর এক 'আদার' নির্মাণ।
কেন এ'কথা বলছি তা ঐ উপন্যাস প'ড়ে জানাই ভালো।
এ'বই এখন সদ্য মোড়ক খুলেছে।
এ'বই না প'ড়লে এখন অনুসন্ধানী সাহিত্য-পাঠকের 'জার্নি' সমাপ্ত হবে না।
'নির্ঝর' এখনও এক কম বয়সি প্রকাশক। কিন্তু বই প্রকাশে পরপর যে সব চমক সে দেখিয়ে চলেছে,তাতে ইতিমধ্যেই তার 'দামালপনা' সুপ্রতিষ্ঠিত।
জন্ম-(ফেব্রুয়ারি ১৮, ১৮৯৯ - বঙ্গাব্দ ফাল্গুন ৬, ১৩০৫ - কার্তিক ৫, ১৩৬১) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক এবং অধ্যাপক। তাকে বাংলাভাষার "শুদ্ধতম কবি" বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম কবিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি প্রধানত কবি হলেও বেশ কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা ও প্রকাশ করেছেন। তবে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে অকাল মৃত্যুর আগে তিনি নিভৃতে ২১টি উপন্যাস এবং ১০৮টি ছোটগল্প রচনা গ্রন্থ করেছেন যার একটিও তিনি জীবদ্দশায় প্রকাশ করেননি। তাঁর জীবন কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধকাল অনপনেয়ভাবে বাংলা কবিতায় তাঁর প্রভাব মুদ্রিত হয়েছে। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত। তাকে বাংলাভাষার শুদ্ধতম কবি অভিধায় আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি (অক্টোবর ২২, ১৯৫৪ -বঙ্গাব্দ কার্তিক ৫, ১৩৬১ ) সালে মৃত্যু বরণ করেন।