প্রেসিডেন্ট জিয়া (১৯৩৬-১৯৮১) (হার্ডকভার)

অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান জন্ম: ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে বৃহত্তর ফরিদপুর (বর্তমান শরীয়তপুর) জেলার নড়িয়া থানার অন্তর্গত কলুকাঠি গ্রামে রুপিয়া হোসেন মঞ্জিল-এ, পদ্মা কীর্তিনাশা নদীর ধারে। পড়াশোনা: কলুকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোনসিং উচ্চ বিদ্যালয়, নড়িয়া বিএল. বি উচ্চ বিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতোকোত্তর। সিটি ল'কলেজ হতে এলএল.বি। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদপত্র বাঁশের কলমে লিখা-সব মিলিয়ে এক দুর্বিসহ জীবন। এক সময়ের প্রখ্যাত ছাত্রনেতা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাক্তন ভিপি এম. এ. রেজা আমাকে খুব কাছে টেনে নিলেন। বলতেন, 'সাজু' তুমি কাছে থাকলে অনেক প্রেরণা পাই। জেল থেকে চিরকুট লিখতেন "সাজু, আমি তোমাকে চিনি-জানি এবং একান্ত আপন মনে করি বলেই নিজের জীবনের ব্যক্তিগত বা কোন দিকের কোনকিছুই অগোচরে রাখি নাই। আমার মুখ ম্লান থাকলে তুমি বুঝতে পারতে! প্রশ্ন করলে সব বলে দিতাম। অনেক সময় হালকাও হতো বোঝাটা"। আমার যাতে চলতে অসুবিধা না হয়। সেজন্য ব্ল্যাঙ্ক চেক সই করে বলতেন, সাজু তুমি লিখে নিও। কী নির্ভরতা, ভাই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আইন পেশায় প্রসারতা, সুনাম, সুযশ ও সুখ্যাতি পেয়েছি অনেক। হঠাৎ ১৯৯১ সালে মাকে হারিয়ে বড় একা হয়ে গেলাম। আমাদের জনারণ্যে তাল-তমাল শালের অভাব নেই। অভাব শুধু বটবৃক্ষের সেই বিশাল ব্যক্তিত্ব উদার, অমায়িক ধর্মভীরু জননেতা মির্জা আব্বাস ভাইয়ের সাথে মরহুম রেজা ভাইয়ের মতোই জড়িয়ে গেলাম তার মায়া-মমতা, ভালোবাসায়। আইন উপদেষ্টা বাদেও পারিবারিক ও ব্যক্তিগত যেকোনো বিষয়ে একান্তে নিভৃতে মনখুলে আলাপ করবেন। আমিও আমার সততা, সরলতা, ভালোবাসা বিশ্বাসে তার ডাকে সাড়া দিতে কুণ্ঠা করি না।