ইসরাইলের নিরাপত্তা প্রশ্নে বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও কর্মকান্ড মোসাদকে গোয়েন্দাবৃত্তিতে সর্বোচ্চ মান দিয়েছে।
দুর্ধষ এই গোয়েন্দা সংস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনী মুক্তি আন্দোলন প্রতিহত করা ও আরব বিশ্বসহ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। এমনকি ইসরাইল বিরোধী অমুসলমান কেউ হলেও এ সংস্থা ওই ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট কাউকে অপহরণ বা হত্যা পর্যন্ত করত। মোসাদ বরাবরই যেকোনো অপারেশন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ'র ছদ্মাবরণে করত। এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে যা পাঠকদের মোসাদের অপহরণ কর্মকান্ড, হত্যা ও বিভিন্ন ক্রাইম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনা এবং রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় রাষ্ট্রের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে গোয়েন্দা সংগঠনগুলো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকে। রাষ্ট্র যত শক্তিধর, তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তেমন শক্তিধর হওয়ার কথা থাকলেও তেমনটি ঠিক নয়। অনেক ছোট ছোট রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংগঠনগুলো বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং করে চলেছে। উদাহরণ হিসেবে ইসরায়েলের মোসাদ, যার পূর্ণ নাম সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব কো-অর্ডিনেশন। পাকিস্তানের আইএসআই ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন। বড় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, রাশিয়ার কেজিবি, ব্রিটেনের এমআই-৬।
গোয়েন্দা কাহিনি কার না ভালো লাগে। বিশেষ করে কৈশোরে ও পরে যৌবনে। আমারও ভালো লাগে।
এখন তো শুধু ভালোই লাগে না, রীতিমতো খোঁজখবর রাখতে ভালো লাগে। গোয়েন্দা পেশাকে বলা হয় বিশ্বের দ্বিতীয় পুরোনো পেশা। গোয়েন্দাগিরির সঙ্গে মানবসভ্যতা, রাজ্য পরিচালনা থেকে হালের রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি সবই জড়িত। এই উপমহাদেশে চাণক্য বা কৌটিল্যের নাম শোনেননি বা তাঁর সম্পর্কে জানেন না এমন শিক্ষিত, অল্পবিস্তর শিক্ষিত ব্যক্তিও পাওয়া কঠিন। ভারতবর্ষের ইতিহাস মতে, মৌর্য শাসকদের সবচেয়ে বিখ্যাত দুই সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত ও অশোককে তিনি রাজ্য শাসনের যে মন্ত্র দিয়েছিলেন, তার মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তি ছিল অন্যতম। তাঁর মতে, সম্রাটের রাজ্য শাসনে উজির-মন্ত্রীদের যে ভূমিকা, গুপ্তচরদের ভূমিকা তার থেকে কম নয়। সেই থেকে ভারতবর্ষের ইতিহাসে গুপ্তচরদের কাহিনি বেশ গুরুত্বসহকারে উল্লিখিত রয়েছে। চাণক্যের আবির্ভাবের কয়েক শ বছর আগে সম্ভবত ৫৫১ খ্রিষ্টপূর্বে চীনের ইতিহাসখ্যাত চিন্তাবিদ ও সমরবিদ জেনারেল সানজু একই কথা বলেছেন। কাজেই রাষ্ট্র পরিচালনায় গুপ্তচর সংগঠনের ভূমিকা ঐতিহাসিক সত্য। এ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সাহিত্যে রয়েছে কিংবদন্তি চরিত্র।