সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ এই মানবজাতি অসীম ক্ষমতা নিয়ে যার জন্ম। তবুও সামাজিক, পারিবারিক বা পরিবেশগত ভ্রান্ত ধারণার কারণে প্রকৃত মানুষ হতে পারি না আমরা বেশিরভাগ মানুষ। যে কারণে সমাজে এত সহিংসতা।
সন্তানদের ভূতের ভয় দেখিয়ে কখনো ঘুম পাড়াই বা কখনো খাবার খাওয়াই, এতে অঙ্কুরেই সে অস্থিত্বহীন ভূতের ভয়ে ভীতু হয়ে গড়ে উঠে।
বাসায় কেউ ডাকলে বলতে বলি- বল বাবা বাসায় নেই, এভাবে তাকে মিথ্যা বলতে শিখাই। খেলনা কিনে দিয়ে বলি অন্যদের দিও না, এভাবে শিখাই স্বার্থপরতা। এমনই করে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে শকুন অশুভ পাখি। দুপুরে কোকিলের কুহুকুহু ডাককেও অশুভ মনে করা হয়! এমন অনেক কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে।
পৃথিবীতে যা কিছু আছে- জীব, জড়, সবকিছুর মতো পাখিদের মধ্যে শকুনও একটি পাখি। শকুনের মতো হিংস্র বহু প্রাণী আছে।
বরং, শকুনই মৃত প্রাণী খেয়ে প্রকৃতিকে পরিচ্ছন্ন, জীবাণু মুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া প্রত্যেকে চায় নামের অনুকরণ না করে ব্যতিক্রম নামকরণ করতে; যে কারণে কবিতার সাথে মিল না রেখে নামকরণ করেছি 'ভালোবাসায় শকুন বসে'। ধরে নিতে পারি সমাজের ভ্রান্ত ধারণার এটি একটি প্রতিবাদী নাম।
মনের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে সহপাঠি বা ফেসবুক বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় শৈশবের স্মৃতি, প্রকৃতির সাথে মানুষের প্রেমভাবকে প্রাধাণ্য দিয়ে লিখছি কবিতা। যদি সামাজিকভাবে ভালোবাসাকে সমর্থন না করে শুধু কবিতায় প্রাধাণ্য দেওয়া হয় তাহলে ভালোবাসার মর্যাদা কোথায় থাকে?
ভালোবাসা আছে ভালোবাসা থাকবে। চার অক্ষরের দুর্লভ 'ভালোবাসা' এই শব্দটাও আমি কোন কবিতাতেই ব্যবহার করি নাই।
সমাজে প্রকৃত ভালোবাসার চেয়ে ব্যর্থ ভালোবাসার সংখ্যাই বেশী। যে কারণে বুকেই শব্দটা ধারণ করে রেখেছি।
ছোটোবেলা থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বা সব ধরনের খেলাধুলা, সুর করে গান লিখা বা গাওয়া, পিটি প্যারেড, ড্রাম বাজানো, ক্লাব করা এমন সামাজিক কাজ অনেক কিছুতে অংশ নিয়ে আসছি। আমার মনে আছে ক্লাস ওয়ানে দৌড় প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছিলাম, প্রতি বছরই প্রাইজ পেতাম।
অনেক সার্টিফিকেট এখনো আছে।
কর্ম জীবন ঠিকাদারি দিয়ে শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে মৎস্য চাষ করে ভিয়েতনাম, ফিলিপিনে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে উন্নত প্রজাতির যায়।