প্রকৃতি মানুষের জন্য; মানুষ কি প্রকৃতির জন্য নয়? বাস্তুসংস্থান নিয়ে মানুষ অবহিত তারপরও প্রকৃতি ও মানুষ বরাবর যুদ্ধে লিপ্ত এই যুদ্ধে মানুষ প্রকৃতিকে প্রায়ই পরাস্ত করতে ব্যস্ত। মানুষ কি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? তারপরও আমরা মানুষ পারি সব বলে ব্যতিব্যস্ত। অথচ মানুষ বরাবর প্রকৃতির উপর নির্ভর তারপরও মানুষ অকৃতজ্ঞ বৈকি। কিন্তু প্রকৃতি ও মানুষ একে অপরের সম্পূরক এই মহাসত্য চরম অবহেলিত ফলে প্রকৃতি মাঝে মধ্যে এমন সব কার্য ঘটায় যা মানুষকে সময়ের জন্য হলেও অসহায় করে ছাড়ে। তারপরও মানুষ শিক্ষিত হয় না বরং আরো দূর্বিনীত হয়ে ওঠে। আমাদের বুঝতে হবে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে থাকতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত নই। যতদিন না এই বোধগম্য আমাদের সত্যিকার অর্থে না হয় আমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ হতে পারবো না, সম্পূর্ণ নিরাপদ সেটাও কি সম্ভব?
মানুষ যখন তার প্রয়োজনের এক একটা দিক উদ্ভাবন করে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত তখন আরো এক একটা চাহিদা কিংবা প্রয়োজন সম্মুখে চলে আসে আবার এর উদ্ভাবন চলে এভাবে মানুষ তার জীবন সায়াহ্নে উপস্থিত হয়। আজকে মানুষ যে বিষ্ময়কর বিশ্ব গড়ে তুলেছে তেমনি বিষ্ময়কর সমস্যাও তৈরি করে চলেছে, যে সমস্যা মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব কিংবা ক্লীব উভয় গুণে সম্পূর্ণ।
মানুষ প্রকৃতিকে তার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে বের করে এনে মানুষ তার অস্বাভাবিক চাহিদা পূরণে প্রকৃতির স্বভাবকে নষ্ট করে দিচ্ছে ফলে মানুষে তার চাহিদার লাগাম আসছেই না বরং বহুগুণে বেড়ে গেছে। উদাহরণ তো অনেক অক্সিজেন এবং কার্বনডাইঅক্সাইড, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ইত্যাদি এর কথা বলি কিংবা বন জঙ্গল, বিভিন্ন পশু প্রাণী পোকা মাকড়ের কথা বলি এসকল কিছুর একটা সমান্তরাল প্রবাহ থাকা দরকার বা সমান্তরাল প্রবাহ আছে এর হেরফের কি হতে পারে আমরা জানি কিন্তু আমরা যে এক বিষ্ময়কর বিশ্ব তৈরীতে ব্যস্ত, কিন্তু এই বিষ্ময়কর বিশ্ব আগে থেকেই অনেক বিষ্ময়কর এই কথাটা আমরা যতই জানছি ততই প্রাকৃতিক বিষ্ময়কর বিশ্বকে কৃত্রিম বিষ্ময়কর বিশ্ব গড়ে তুলতে চলছি আর সেটা করছি মানুষ ও প্রকৃতির সমান্তরাল রেখাকে ছিন্নভিন্ন করে। ফলে বৈপরীত্য রূপ দেখছি প্রকৃতির। মানুষ অবশ্যয় প্রকৃতির উপর নির্ভর, প্রকৃতি থেকে তাকে নিতে হয়, নিতে হবে এই নেওয়া শুধু নেওয়া কি কোনো নীতি নিশ্চয় নয়। তো আমাদের নিশ্চয় প্রকৃতি থেকে যা নেয় তা পূরণ করা উচিত।