এমন পুরুষালী কণ্ঠ শুনে আমি বড্ড ভয় পেলাম।মাথা উঁচু করে যাকে দেখলাম,তাকে দেখার সাথে সাথে আমার মাথা ঘুরে গেলো।আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছেন, উনি আর কেউ নন বরং মিস্টার ইয়াদ।কেনো যেনো আমার গাল গুলো জ্বলে উঠলো উনাকে দেখে।এতো বড় মাপের একটা মানুষ আমার সামনে আছেন। এটি আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।আমি আপাতত হা করে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।
আর ইয়াদ সে তার সামনে থাকা মেয়েটিকে দেখে এখনো অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। মেয়েটি সামনের দিকে আরো বেশি নজর কাড়া।এই যে মেয়েটির অশ্রু মাখা চোখ,লাল নাক,আর অতি ফর্সা গালের ডান পাশে একটা হালকা দাগ এবং পাতলা দেহের গঠন।এই সামান্যতায় মেয়েটির মুখে যেনো হাজারো মায়া।যে মায়াতে কেটে যেতে পারে যেকেনো বিষাক্ত মনের দাগ বা বদলে যেতে পারে কারো মনের সকল অহংকার।ইয়াদ অবাক চোখে দুআকে দেখে আছে।
আমার এখনো বিস্ময় কেটে উঠছে না।একটু আগেই রহমান আর বাকি দুইজন এসে পৌঁছিয়েছে এইখানে।কিন্তু আমি ইয়াদ সাহেবকে দেখছি বারবার চোখের পলক ফেলে।লোকটি বাস্তবে আরো সুন্দর আর বেশি আকর্ষণীয়।কি সুন্দর তার মুখের নকশা।আর চোখগুলো যেন এক অজানা মায়া দিয়ে তৈরি।আমি উনার দিকে অল্প তাকিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে গেলাম।বড় মাপের মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকার আমার কোনো ইচ্ছে নেই, সে উনি যতই সুন্দর হোক না কেনো!
আবারো ইয়াদ সাহেব আমাকে প্রশ্ন করলেন...
"তুমি ঠিক আছো?"
আমি পা থেকে হাত সরিয়ে দেখলাম রক্ত বের হয়ে গিয়েছে।আমি রক্ত দেখে অল্প ফুঁপিয়ে উঠলাম।
"আরে আরে,রক্ত বের হচ্ছে।পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঐ ক্ষত স্থান চেপে ধরো।"
ইয়াদ সাহেবের কথায় মাহি তার ব্যাগে থাকা রুমাল আমার দিকে এগিয়ে দিলো।
"এই নে দুআ।এটা নিয়ে আপাতত ক্ষতস্থান চেপে ধর।"
দুআর নাম শুনে ইয়াদের মনে কেনো যেনো একটু কেঁপে উঠলো।কিন্তু কেনো এমন হলো জানা নেই ইয়াদের।এই নামের একজনকে ইয়াদ চিনে।তবে,তার চেহারা কখনোই দেখেনি সে।ইয়াদ বেশি অবাক হলো বাকি সবার কান্ড দেখে। ইয়াদকে দেখে সবাই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে,কিন্তু এইখানে তার সাথে এমন কিছুই ঘটছে না।সবাই এই দুআ নামক মেয়েটার জন্যে চিন্তিত।এই বিষয়টা কেনো যেনো ইয়াদকে খুবই আকর্ষন করেছে।