অত্যন্ত বাস্তবধর্মী, জীবনমুখী পরিবেশনা। সাম্প্রতিক সামাজিক প্রেক্ষাপট বিভিন্নভাবে কবিতায় স্থান পেয়েছে। দেশ, দেশের মানুষ, সামাজিক অবক্ষয়, ভারসাম্যহীন সমাজ মনোভাব কবিতার উপজীব্য বিষয়। জীবনে চলার পথে নানাবিধ সমস্যার কারণে জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। হিংসাত্মক ঘটনা, লোভ, লালসা, পরশ্রীকাতরতা, উদারতার অভাব- এসব সামাজিক ব্যাধি এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।
শিক্ষিত বিবেকবান সমাজই পারবে এসব অন্যায় অবিচার অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে। আলোর পথে যাত্রা অব্যাহত থাকলে একটি সুস্থ সমাজের দেখা পাওয়া যাবে। জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি জীবনযুদ্ধের দোলাচলে নৈতিক শিক্ষা, চেতনা, সততা-ই সঠিক পথটি চিনিয়ে দিতে পারে। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত মানুষই পারবে একটি সুস্থ, সুন্দর সমাজ উপহার দিতে। আলোয় আলোকিত হয়ে আলোর পাখিরা খুঁজে পাবে তাদের নিষ্কণ্টক নিবাস। নিতে পারবে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস। সমস্ত জঞ্জাল দূরীকরণে নব প্রজন্মের দৃপ্ত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।
শহিদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার যেন আমরা যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারি। তাদের আদর্শ আমাদের জন্য নিরন্তর শিক্ষণীয়। চলার পথে পাথেয়। তাদের অদম্য সাহসে আমরা গর্বিত। জীবনের প্রতি পদে সংগ্রামী মনোভাব সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। সকলের মধ্যে অফুরন্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। মেহনত, চেষ্টা, ধৈর্য্য- অসীম সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে অধিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। বাধা পেরিয়ে তবেই উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। বিন্দু থেকে সিন্ধু। এক লাফে গাছের মাথায় ওঠা সম্ভব নয়। উদ্দেশ্য সৎ হলে নিশ্চয়ই সাফল্য এসে ধরা দেবে। পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি। অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে সততা, ন্যায়পরায়ণ, ধৈর্য্যশীল, মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষকে একদিন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে।
বলিষ্ঠ শব্দচয়নে অন্তমিল কবিতা আর পরিশীলিত, মার্জিত ছন্দের মধ্য দিয়ে কাব্যগ্রন্থের ধারা।