অনুরক্তির অতলে (হার্ডকভার)

মন আর পৃথিবী জয় করা দুরূহ ব্যাপার। আর দুরূহ কাজও করা যায় ইচ্ছা শক্তি দিয়ে। ইচ্ছা শক্তির মধ্যে আবার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ত্যাগ, তিতিক্ষা থাকতে হয়। এ সবই যেন আছে শ্রেষ্ঠ আর রাহির মধ্যে। তবে, এক পর্যায়ে দু'জনের মধ্যে যোগাযোগ শূন্যতা পরিলক্ষিত হয়- সামাজিক অনুশাসন আর রক্তচক্ষুর ভয়ে। সেই সময়টাতে একটা প্রবল ঝড় এসে চুরমার করে দিয়ে যায় মনের সাজানো বাগান। হিজলতলে বসে দুজনের ওয়াদাবদ্ধ হওয়া বা হুদায়বিয়ার সেই ঐতিহাসিক সন্ধিটাও মনের চোরাবালিতে ডুবে যায়!

রাহির বিয়ে ঠিক হয়ে যায় অন্যত্র। বর পক্ষ আংটি পড়িয়ে যায়। শ্রেষ্ঠর জীবনে নেমে আসে অন্ধকারের অমানিশা। যে গান দিয়ে ভালোবাসা ভিত গড়ে ছিল, যে গান শুনে রাহি প্রেমে পড়ে যায়, শ্রেষ্ঠ সেই গান ছেড়ে দেয়, তবে শেষবারের মতো একটি অনুষ্ঠানে সবাইকে তার গান শুনিয়ে। সেই গানের সুর সবাইকে বিচলিত করে। শ্রেষ্ঠ অন্যরকম এক নতুন জীবনে প্রবেশ করে। সেই জীবনে নেই গান বাজনা, নেই প্রেম-ভালোবাসা, আছে কেবল কাজ আর অর্থের জয়ের নেশা।

তবে, সেই সুচনা... গানের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হয় অনেকের মনে। গানটি ব্যাপকভাবে মনগুলোকে স্পর্শ করে, বিষাক্ত ভাইরাসের মতো ক্ষত-বিক্ষত করে কয়েকজনের অন্তর।

রাহির আহত অন্তরে আবারও বেজে উঠে প্রথম শোনা শ্রেষ্ঠর সেই প্রিয় গানটি - 'তুমি একজনই আমার মনের মানুষ...।'

তারপর কী? তারপর প্রিয় পাঠকই খুঁজে নিবেন পড়ে পড়ে, কী হলো শেষটায়।

আশাকরি, সবার মনোযোগ আকর্ষণ করবে এ মিষ্টি প্রেমের উপন্যাস "অনুরক্তির অতলে"।