অমাবস্যায় পূর্ণিমা (হার্ডকভার)

ইমন মিরপুরে একা থাকে। মা মারা গিয়েছেন আর বাবা আমেরিকায় থাকেন। একটা ছোটো ভাই আছে। সেও থাকে বুয়েটের হলে। ইমনের খুব একটা বন্ধুবান্ধব নেই। অনেকটা অন্তর্মুখী স্বভাবের এসব মানুষের বাইরের

জগৎটা খুব ছোটো থাকে আর ভাবনার জগৎ থাকে বিশাল। যেন সেটাই তার বাস্তবতা । ইমনের ভালো লাগে প্রকৃতি । বর্ষাকাল তার খুব প্রিয়। সমুদ্র দেখতে মাঝে মাঝে ছুটে যায় কক্সবাজার। তার খুব ভালো লাগে

সীমাহীন সমুদ্রকে সামনে রেখে রুপালি পূর্ণিমার সঙ্গ ৷ কোরালে বসে সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়ে সে অন্তহীন সময় পার করতে পারে। সমুদ্রের সঙ্গেই তার ভাবনাগুলো ভাগ করে নেয়। হয়ত সমুদ্রও নেয়। নিজের আবেগ,

অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে কবিতায়, ক্যানভাসে । বয়স ত্রিশ পার হলেও বার বার বিয়ের কথা মনে করিয়ে দেবার মতো লোক পরিবারে নেই। ইমনের মধ্যেও তাড়াহুড়া নেই। সে বরং এটা নিয়ে ভাবছেও না। আসলে কি তা-ই হয়? এমনও তো হতে পারে, মনের ক্যানভাসে নিজের অজান্তেই রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছে কাউকে আর কবিতায় দিয়েছে তার ছন্দময়ী রূপ। যাকে সমুদ্রযাত্রায় সঙ্গী করতে চায়। এখন পর্যন্ত এমন কোনো মেয়ের সাক্ষাৎ বাস্তবে পায়নি। শুধু সময়ের অপেক্ষা । একদিন হঠাৎ খুব ব্যস্ততার মধ্যে এক সুমধুর কণ্ঠ শুনতে পেল। কণ্ঠটি খুব আপন। যেন ক্লান্তিবিনাশী। উনিশ-বিশ বছর বয়সের একটি মেয়ে অফিসে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে। স্নিগ্ধতর চেহারা। কোথায় যেন সব মিলে যাচ্ছে। ইমন কি এতদিন তার জন্যই অপেক্ষা করছিল?