সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্বজাহানের প্রতিপালক। আমি আরবি ভাষা ভালো বুঝি না। তাই কোরআন পড়ে এর অর্থও সঠিকভাবে বুঝি না। অথচ কোরআন বুঝে পড়ার দরকার। আমি ২০০৪ সনে সপরিবারে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসি। আমেরিকায় আসার পর একটা ভাল বাংলা তরজমা কোরআন সংগ্রহের চেষ্টা করি। কিন্তু এখানকার বাজারে কোন ভাল বাংলা তরজমা পাই নি। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি নিজে বাংলায় লিখবো নিজের জন্য। তাই অনেক চেষ্টা করে আমি বাংলা তরজমা ৩টি কোরআন সংগ্রহ করলাম এবং সাহস করে এই তিনটা অনুবাদ থেকে সংগ্রহ করে একটু একটু করে তিন বছরে এই কোরআন বাংলায় লিখে ফেলি। পরে মনে হলো- এটা প্রিন্ট করে রাখতে পারলে ভাল হতো।
এক সময় আমার মেঝো ভাই জনাব ফসিয়ার রহমান, প্রাক্তন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ২০১৯ সালে আমেরিকায় আমাদের এখানে টেক্সাসে বেড়াতে আসেন। তখন আমার হাতে লেখা পান্ডুলিপি তাঁকে দেখাই এবং প্রিন্ট করার ইচ্ছা ব্যক্ত করি। তিনি পান্ডুলিপিটা সঙ্গে করে দেশে নিয়ে যান এবং প্রিন্টের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ঢাকাতে পালক পাবলিশার্সের মাধ্যমে বই আকারে এই বাংলা কোরআন প্রিন্টের পদক্ষেপ নেন। তিনি অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে কিছু কিছু ভাষা ও শব্দ চয়নে পরিবর্ধন এনে এটা প্রকাশ করিয়েছেন।
মূলত পবিত্র কোরআন আরবি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর বা অনুবাদ করা এক দুরূহ কাজ। আমি আরবি ভাষায় অনভিজ্ঞ হওয়ার কারণে এর মর্মার্থ যথাযথভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম নই। তবুও একান্ত মনের বাসনা পূরণের জন্য এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। তাই এই বাংলা কোরআনে ভুলভ্রান্তি থাকা খুবই স্বাভাবিক। এ কারণে অনিচ্ছাকৃত কোন ভুলের জন্য করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ-পাক যেন আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার যথাযথ প্রতিদান প্রদান করেন। আমীন।