মহাপ্রয়াণ (হার্ডকভার)

মানুষের জীবন বিচিত্র সব ঘটনা ও রঙে রাঙানো। সব ঘটনারই একটা কার্য-কারণ সম্পর্ক আছে। তবে এই কার্য-কারণ বিষয়টি সব সময় চোখে পড়ে না। মৃত্যু আছে বলেই জন্মে আনন্দ আছে। সৃষ্টিতে আনন্দ আছে। রহিমের ভবঘুরে ভাবের মধ্যে নিষ্পৃহতাই বেশি লক্ষণীয়। নস্টালজিয়াও কম না। হাকিম মাস্টার নিজস্ব গণ্ডিকে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন নিজস্ব ধারায়। আর জমিদারপুত্র হাবিবুল্লাহ খান জীবনের থেকে পালিয়ে বাঁচতে মৃত্যুকেই জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসে বসেন স্বীয় স্ত্রীর প্রতি অনিহা থেকে। সবকিছু ছাঁপিয়ে সুচিত্রার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা রজব আলীর মৃত্যুচিন্তা এবং সবশেষে পুত্রের মৃত্যুতে তার আরো বুড়িয়ে যাওয়ার পেছনে যে সত্য তাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে তা আর কিছুই না, মৃত্যু; যার অপর নাম মহাপ্রয়ান। পরিণত বয়সের প্রত্যেকটি চরিত্র, সে রজব আলীই হোক আর হাকিম মাস্টারই হোক অথবা হাবিবুল্লাহ খানই হোক প্রত্যেকের জীবনের যে গতি তা যেন মৃত্যুকে কেন্দ্রে রেখেই। প্রধান চরিত্র রহিমও মৃত্যুকে এড়িয়ে জীবন যাপনে অগ্রসর হতে পারে না। গত শতাব্দীর নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্লী খালিদ হাসান মিলুর মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তার মন উদগ্রীব হয়ে ওঠে। মৃত্যুই এ উপন্যাসের পরোতে পরোতে সুতো বিস্তার করে এগিয়ে গেছে। মহাপ্রয়ান নামে তাই এ সৃষ্টিকর্মটিকে ডাকাই যায়।