এখানে ওখানে সবখানেই ভূত (হার্ডকভার)

কি বললে- ভূত? হ্যাঁ, ভূত আছেই তো। নাহলে ভূত-প্রেত কিংবা মামদো ভূত, মেছো ভূত, শাকচুন্নি রাক্ষুসে ভূত শব্দগুলো আসলো কোত্থেকে?

কার্তিক মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে ভূত চতুর্দশী আমাদের দেশে পালিত হয়।

ভূত বলে যদি কিছু না থাকবে তবে হ্যালোইন (Halloween) শব্দটি এল কোত্থেকে? যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, বার্লিন, ম্যাক্সিকোসহ বহু রাজ্যে এটি পালিত হয়।

তাদের ধারণা ৩১ অক্টোবর রাতে জীবিত ও মৃত ব্যক্তিদের সীমা অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ সময় আত্মারা পৃথিবীতে ফিরে আসে। তাই হ্যালোইন দিনটিতে ছোট-বড় সবাই ভৌতিক থিম-এ নিজেদের সাজিয়ে তোলে।

হলিউডে প্রতি বছর গা শিরশির করা ভৌতিক ছবি তৈরি হয়।

বর্ষা দিনের নিঝুম দুপুরে ঝুপসি তেঁতুল কিংবা হিজল গাছের নিচ দিয়ে যেতে যেতে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে না? অমাবস্যার ঘুটঘুটে রাতে পাখিদের ডানা ঝাপটানো, শেয়ালের একটানা কান্না বুকের ভেতরে কাঁপুনি ধরায়।

ভূত-পেত্নী আছে বলেই তো এমন হয়। ‘এখানে ওখানে সবখানেই ভূত’ বইটির দশটি গল্পই আমি দিনের আলোতে লিখেছি। কেন লিখেছি শুনবে?

রাত্তিরে লিখতে গেলেই মনে হয়েছে কাঁধের উপরে কারো যেন উষ্ণ নিঃশ্বাস, বলছে- এই তো আমরা আছি। অনেক সময় মনে হয়েছে মৃত কারোর ছায়াশরীর আশেপাশেই ঘুরছে। বলছে-

‘কেমন দেখছ ভূতে খেলা

ঘুম নিঝঝুম রাতের বেলা?’

ভূত-পেত্নী যদি না-ই থাকবে- তবে পুরনো কাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত দেশে-বিদেশে ভূতের কথা বললে বুকে কাঁপুনি জাগে কেন? গা শিরশির করা, ভয়ে দু’চোখ বোঁজা- সে কি এমনই এমনই?