মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর মনোনীত দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যুগে যুগে নবী ও
রাসূলদের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন। নবী ও রাসূলগণের পর প্রখ্যাত দ্বীনের দায়ী,
ইমাম ও সমাজ সংস্কারকগণ এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উত্তরাধিকার
হিসেবে ইসলামী সমাজ সভ্যতা বিনির্মাণে ও জাতি গঠনে তাঁরা অবদান রেখেছেন।
যার প্রেক্ষিতে ইসলামী সভ্যতায় একটি স্বর্ণযুগ সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁদের প্রজ্ঞা ও
জ্ঞান, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, পরিশ্রম, ত্যাগ, কোরবানি, সাংগঠনিক ভিত্তি, কর্মনীতি ও
কর্মকৌশল আধুনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমৃদ্ধ দেশ গঠন ও আদর্শিক সমাজ
প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী দিনের প্রজন্ম এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে
তাঁদের অবদান অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। তাঁদের প্রদর্শিত
কর্মনীতি ও কর্মকৌশল এবং জীবন ও কর্মের উদাহরণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে
অধ্যাপক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ‘ইসলামী জাগরণের ১০ নকীব’ গ্রন্থটিতে
ইসলামি চিন্তাবিদ ও সমাজ সংস্কারকদের জীবন ও কর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আগামী
প্রজন্মের জন্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
এ গ্রন্থেÑ ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব (রহ.) (১১১৫-১২০৬), হাজী
শরিয়ত উল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০), শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.)
(১৭৮৬-১৮৩১), সাইয়েদ আহমাদ শহীদ বেরলভী (রহ.) (১৮০৬-১৮৩১),
স্যার সৈয়দ আহমাদ খান (১৮১৭-১৮৯৮), বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি (১৮৭৭-
১৯৬০), সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহ.) (১৯০৩-১৯৭৯), সাইয়েদ কুতুব
শহীদ (১৯০৬-১৯৬৫), শহীদ হাসান আল বানড়বা (১৯০৬ -১৯৪৯), আহমাদ
দীদাত (১৯১৮-২০০৫) প্রমুখ ব্যক্তিদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে
আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি গ্রন্থটি জীবন গঠনে মূল্যবান
অবদান রাখবে এবং পাঠক মহলে সমাদৃত হবে।