ইদানীং অগোচরে ঘটে যাচ্ছে কিছু ভয়ানক, অস্বাভাবিক ঘটনা। ভাবুন তো, আপনারই মাংস কেটে, রেঁধে, শেষে আপনাকেই খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে! আপনার আস্ত মাথাটি কারও কাছে হয়ে উঠেছে বিজয়চিহ্ন। ওয়ালমেট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে আপনার চোয়ালের দাঁত, সে নাকি ওগুলো বেশ পছন্দ করে! কখনো বা ইনক্লিউশন ফরসেপের মাধ্যমে অক্ষিকোটর থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে চোখ! নৃশংস, কিন্তু তার কাছে এসব নিছক খেলা। কারণ-অকারণে, খেয়াল খুশি মতো সবটাই ঘটে চলেছে তার এক ভয়াবহ মর্জির ইচ্ছায়।
মনে কি প্রশ্ন জাগে না, এসব কেন হচ্ছে? এর পেছনে কি কোনো উদ্দেশ্য আছে? নাকি সবটাই এলোমেলো, এক নিরুদ্দেশ আতঙ্কের আখ্যান?
এই সব আঁধারকে পাশ কাটিয়ে নিজের কল্পনার রাজ্যে ভেসে বেড়ায় আন্দ্রিয়া মেরি। তার জীবন আটকে গেছে এক অদ্ভুত সমীকরণে। এক কল্পবিলাস রাজ্য, যেখানে সে প্রতিদিন অপেক্ষা করে এক সুদর্শন রাজার। হঠাৎ যেন কল্পনার জাল ছিঁড়ে আসন নেয় সেই কাঙ্ক্ষিত পুরুষ। কিন্তু… সেই রাজার চলন, বলন, আত্মপ্রকাশ—সবটাই রহস্যের ঘন পর্দায় ঢাকা।
ধীরে ধীরে সন্দেহ দানা বাঁধে, শহরতলির সেই ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডগুলোর পেছনে কি তবে রাজারই হাত? নাকি অন্য কেউ? নাকি আরও গভীরে লুকিয়ে রয়েছে একাধিক চরিত্র, এক বিস্তৃত ষড়যন্ত্র?
রাজার অগাধ ভালোবাসা কখনো আন্দ্রিয়াকে তোলপাড় করে, আবার কোনো মুহূর্তে সে টের পায়, তার কল্পনার রাজ্য আর বাস্তবের হিংস্রতার মধ্যে দোল খাচ্ছে সে। একদিকে প্রেমের শিহরন, অন্যদিকে নৃশংসতার গা-গুলিয়ে ওঠা বর্ণনা।
শিহরন থেকে সরে যাওয়ার আগেই শুরু হয় আতঙ্কের খেলা…! তাই বলি, এই চাপা ভয়ের ছায়ায় মোড়া, রহস্যময় গন্তব্যে আপনাকে স্বাগত।