ইচ্ছে
আমি যদি পারতাম মোরে
বিশ বছরেই রাখতে ধরে
বয়েষটারে।
খেলতাম ফিরতাম জগত জুড়ি
নদী সাগর পাহাড় মাড়ি
না ফিরতাম না বাড়ি
মায়া কায়ায় দিতাম আঁড়ি।
চাইত ছিঁড়তে চাইত সবাই বারংবারে
আমার এই বয়েষটারে।।
সেইদিন
একদিন এই অজস্র নক্ষত্রের নিচে
আমি একা রব শুয়ে
সেদিনও এই সূর্য উঠে পূবে
যাবে ডুবে শেষে সন্ধ্যারবে,
শুনবে সবাই সেদিনও দোয়েল কোকিল শালিকের গান
শুধু আমিই পাব না কোন শব্দ কোন তান,
সেদিনের পরে কেউ বিরক্ত হবে না আর
রাখিবে কে কারে মনে, আছে যে ব্যস্ততা সবার।
আমি ভাবিতেছি আর ভাবিতেছি এসব কিছু
রেখেছি কি কিছু,করেছি কি কাউকে আমার পিছু?
কিছু খুদ খোলা খাঁচার বন্দি পাখিদের তরে
রাখিতে হবে,আমার বাড়ির খোলা চালের পরে,
টিনের সাথে পাখিদের নখের ঠোঁটের সৃষ্ট শব্দতে
ঘরে বিছানাতে ঘুমাব আমি পরম এক শান্তিতে।।
সান্ত্বনা
একবার দেখা দে না।
এমন কেনো তুই
শয়নে স্বপনে কতজনের হাত ছুঁই
তবুও দেখা তোর পাই না।
সান্ত্বনা।
ভাবিস কিরে
পৃথিবী সবার তরে?
অনেকেই আছে এতটুকু সান্ত্বনা খুঁজে ফিরে দুঃখভারে।
অসহায়দের জন্য আছে
আইন নৈতিকতা
কিন্তু যে সান্ত্বনাভাবে মরে,
কে ভাবে তার কথা?
দাও না দাও হাযারো ব্যথা যন্ত্রণা
শেষে এতটুকু সান্ত্বনা
জানি সান্ত্বনা সুখের কথা সে না
তবু দিত যদি তা কোন জনা।
পেতাম ত মনে এতটুকু সান্ত্বনা।
পিছুটান
একটা কবিতা লিখব অমলিনও সমান
সামনে আর এগুবে না থাকবে পিছুটান
ভুতের সাথে থাকবে পরিচয় পরিণয়
কত হাসি খেলা অভিমান অভিনয়।
ভবিষ্যৎ কি ঘটন কি অঘটন
বর্তমান কি কেউ দেখেছে কখন?
হাসি সুখ দুঃখ বেদনা সমান
সবই আছে যেখানে স্মৃতিটান।
এই পৃথিবীতে কবিতাটি না দীর্ঘ এত
তেইশ বছরের মত
বাড়তে থাকবে আর বাড়তে থাকবে ততদিন
ধরার কাছে কবির যবে শেষ হবে ঋণ।
কবিতাটা হয়ত যেন স্বপন
স্বপ্ন দেখাটাও যেন স্বপ্নের মতন।।
অস্ফুট আলাপ
-এই যে রিপোর্টার ভাই একটু শুনুন
-জি, বলুন।
-আমার একটা ছবি তুলুন
-ছবি তোলা আমাদের শখ না দেখুন
-আমার মাকে পাচ্ছি না খুঁজে
-আমাকে যেতে হবে অন্য কাজে🥱
-আমার একটা ছবি তুলে
সেটে দেবেন দেয়ালে দেয়ালে,
হাসপাতালের পাশে এই ডাস্টবিনে
আমাদের ঠিকানা লোকে যেন জানে।
-বারে আমি ত আর পুলিশ নই😡
তাছাড়া আপনার পিতা কই?
-আমার মায়ে জানে তার কথা।
-আহারে বেভোলা আপনার মাতা।😮
-জানেন আমার কয়েকজন সঙ্গী ছিল
-তাদের ভাগ্যে কি হল?🤔
-
নবপ্রত্যুষ প্রকাশনী