বাংলায় খ্রিস্টধর্ম। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা প্রাচীন বাংলার শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত খ্রিস্টধর্মের অবস্থান ও বিস্তৃতি নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার প্রামাণ্য দলিল এই গ্রন্থ। বইটি তিনটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। মোট ১৩টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।
প্রাচীন বাংলায় খ্রিস্টানদের আগমন, সুলতানী আমল, মুগল আমলে খ্রিস্টানদের অবস্থান ও বিস্তৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতীয় উপমহাদেশে কীভাবে এই ধর্মের বিস্তৃতি লাভ করেছে তা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।
প্রাচীন মানবসমাজে ধর্মবিশ্বাসের উদ্ভব, নানান ধর্মীয় মতবাদ, বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম ধর্ম, হিন্দুধর্মের বিস্তৃতি, বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম, আজীবিক ধর্ম, শিখধর্ম, জরথুষ্টের পার্সীধর্ম, কনফুসীয় ধর্ম, তাও ধর্ম, সীনটো ধর্ম, বাহাই ধর্ম, ইহবাদী মানবধর্ম সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
খ্রিস্টপূর্ব মানব সমাজ, ফিলিস্তিন থেকে প্যালেস্টাইন, খ্রিস্টজন্ম, খ্রিস্টীয় ধর্মবিপ্লব, যুগসন্ধী ও খ্রিস্টধর্মের উদ্ভব, খ্রিস্টধর্মের আবির্ভাব, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে খ্রিস্টধমের্র বিকাশ, রোম সম্রাট কনস্তান্তিনের রাজধানী স্থানান্তর, নব্য খ্রিস্টানগণ কর্তৃক শিল্প নিদর্শন ধ্বংস ও বিজ্ঞানের গতিরোধ, খ্রিস্টান মিশনারী, খ্রিস্টবিশ্বাসীদের গির্জাঘর, ধর্ম সংলাপ ও ক্রুশেড সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে।
বইতে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়গুলো হলো অজানা ভারতবর্ষ, ধর্ম প্রবর্তকদের সম্পর্কে বৈদিক শাস্ত্রের ভবিষ্যৎবাণী, যীশুর ওপর বৌদ্ধধর্মের প্রভাব, ভারত উপ-মহাদেশে খ্রিস্টশিষ্যদের আগমন, ভারতে খ্রিস্টধর্মের অন্ধকার যুগ ইত্যাদি।
এছাড়া বিভিন্ন অধ্যায়ে পর্তুগিজ জাতি ও ভাষা, জলপথে দুঃসাহসী ম্যাগালেনের পৃথিবী পরিভ্রমণ ও করুণ পরিণতি, বণিকের বেশে পর্তুগিজদের ভারতে আগমন, ভারত উপ-মহাদেশে মোঘল শাসনের সূত্রপাত, মোঘল সাম্রাজ্যে খ্রিস্ট মণ্ডলী, সম্রাট আকবরের খ্রিস্টধর্মে আগ্রহ, ঢাকায় মিশনারীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মোঘল চিত্রকলায় খ্রিস্টীয় প্রভাব, বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, পর্তুগিজ খ্রিস্টানদের আদমশুমারী, ছাপাখানায় মুদ্রিত বাংলা ভাষার প্রথম বই, বাংলা প্রথম অভিধান পর্তুগিজ-বাংলা শব্দকোষ : বাঙালির রচনা, বৃটিশ ভারতে বঙ্গের খ্রিস্টমণ্ডলী, বৃটিশের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশে খ্রিস্টমণ্ডলী, স্বাধীন বাংলাদেশে খ্রিস্টীয় মিশন, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিসংগ্রামে খ্রিস্টান জনগণ, মুক্তিযুদ্ধে খ্রিস্টানদের অবদান, বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্ম ও সংস্কৃতি, বাংলা সাহিত্যের বিকাশে মিশনারীদের ভূমিকা, ইতিহাস রচনায় মিশনারী, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মিশনারীদের সাহিত্যচর্চা ইত্যাদি।