চট্টলার সর্বদক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত বিরল সৌন্দর্যের এক বিলোল ভূমি হ্নীলা, তার বুকে জন্ম নেয়া সম্ভাবণার এক উজ্জ্বল তারকা কবি আজিজুর রহমান। আধুনিক হ্নীলার পূর্বে উত্তাল নাফ নদীর তরঙ্গরাজী, পশ্চিমে দিগন্ত বিস্তৃত উত্তুঙ্গ পাহাড়ি সবুচ্ছাদিত বনাঞ্চল এবং উর্ধ্বে নীলাকাশ, সবমিলে নৈসর্গিক ও প্রকৃতির অবারিত লীলা কবিকে করেছে কাব্যিক সাধক।
কবি আজিজুর রহমান এর " লোনাজলের ঢেউ "প্রেমতাত্ত্বিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ সমৃদ্ধ কাব্যগ্রন্থ।শুধু প্রেমকেন্দ্রিক নয় কবিতায় আধ্যাত্মিকতারও ইশারা জাগায়।নাফ নদীর ধীরবহা মন্দিল তরঙ্গরাশির হিন্দোল দোলায় বেড়ে উঠা কবি আজিজ। কবির সবগুলো কবিতার মজ্জাগত ব্যাখ্যিক বিশ্লেষণে ভালোবাসার অমর্যাদার যে রক্তক্ষরণ উচ্চারিত হয়েছে তা সত্যিই বেদনা বিদগ্ধ যন্ত্রনার বহিঃপ্রকাশ। কবি প্রেমের বিরহ গাঁথায় যে দ্যোতনার চিত্র চিত্রিত করেছেন তা অনবদ্য। যেনো বিচ্ছেদী কান্নার লোনা- স্রোত। ভালোবাসা বা প্রেমের অপূর্ণতা ব্যথিত প্রেমিকদের হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে- দু চোখে ঝরায় লোনাজলের অশ্রু ধারা। কবির প্রত্যেকটা কবিতায় ব্যথাতুর প্রেমিকদের চিত্র উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে।কবির অনুভূতির স্ফুরণ তাঁর কবিতাকে যুব মানসের হৃদয়ে হৃদয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে। অত্যান্ত প্রাঞ্জল, সাবলীল, মনোরম এবং আধুনিক শব্দ বিন্যাসে তাঁর কবিতাগুলো হয়ে উঠেছে অনুপম।রূপক উপমায় কবিতার কারুকাজ অতুলনীয়। কবিতায় বিচ্ছেদ, বিরহ, যন্ত্রণা, বিদ্রোহ এবং রোমান্টিকতার আবহ রয়েছে। প্রেম কখনো হারিয়ে যায়, কখনো অন্তঃস্থলে আসন বসায়। তেমনটা কবিতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফুটে উঠেছে ফুলঝরা স্বপ্নের দাহন।তারপরও কবি প্রভাত সুর্যের প্রত্যাশায়। আকাশের চাইতে উদার ভালোবাসা। ভালোবাসার মূল্যায়ণ সর্বত্র স্বীকৃত হোক।